“উম্মাহর বাহ্যিক সংকটের রহস্য ও অশান্ত-উন্মত্ত পৃথিবীর চিকিৎসা”

“উম্মাহর বাহ্যিক সংকটের রহস্য ও অশান্ত-উন্মত্ত পৃথিবীর চিকিৎসা”
**********************************************************
প্রজ্ঞাময় কোরআন থেকে বিমুখ হয়ে দুনিয়ার বিজ্ঞানীরা যা আবিষ্কার করতে পেরেছে তা হল ” natural resources” (প্রাকৃতিক সম্পদ) শেষ হয়ে এসেছে, গ্যাস শেষ হয়ে যাচ্ছে, তেল পুরিয়ে যাচ্ছে, কয়লাও উধাও হওয়ার পথে।
* এ থেকে অবিশ্বাসীরা যা শিখেছে :
******************************
*দুনিয়ার যেখানেই এ সম্পদ বেশী রয়েছে, (মধ্যপ্রাচ্য) ,যে কোন ছুতা সৃষ্টি করে তা দখল করতে হবে, নিজেদের গোলায় তুলতেই হবে (পুঁজিবাদ) । কারণ এরা প্রকৃত বিশ্বাসী না। কিন্তু প্রাকৃতিক সম্পদ পুরিয়ে আসার লক্ষণ যে মহাদিবসের অশনিসংকেত এটা তারা বুঝতে পারেনা।
কারণ পবিত্র আলকুরআনে আল্লাহ এদের সম্পর্কে আমাদের জানিয়ে দিয়েছেনঃ
" আর নিশ্চয়ই আপনি তাদেরকে (ইহুদী -খ্রীষ্টান) অন্যান্য লোক ও অংশীবাদীদের অপেক্ষাও অধিকতর আয়ু আকাঙ্ক্ষী পাবে ,তাদের প্রত্যেকেই দুনিয়ায় হাজার বছর বাঁচতে চায় "।
(বাকারাঃ ৯৬) ।
"মুসলিম উম্মাহর বাহ্যিক দূরাবস্থার কারণ :
*************************************
মুসলিম উম্মাহর প্রধান দায়িত্ব ছিল আল্লাহর ইবাদাত করা। মুসলিমরা দুনিয়াতে থাকবে মুকুটহীন
বাদশার মত,তারা প্রযুক্তি আবিষ্কার না করলেও নেকি অর্জনের পথে তা ভোগ করবে,অনেকটা , এরকমঃ আল্লাহ কাফেরদেরকে মুসলিমদের সেবায় প্রযুক্তি আবিষ্কারে লাগিয়ে দিয়েছেন, কাফেররা হল হালের “বলদ” আড়ালে থেকে আল্লাহ তাআলা সেই বলদগুলোরে “দুনিয়ার মহব্বত” নামক কৃষক দিয়ে পরিচালনা করছেন । আল্লাহর কুদরতি খেলায় কাফেররাই প্রযুক্তি আবিষ্কার করবে আর সামান্য কিছু আবিষ্কার করে (ব্যাখ্যা দিতে গেলে science এর সকল শাখার বর্তমান সফলতার ছবি তুলে ধরতে হবে) আত্মহংকারে নিমজ্জিত হয়ে বলবে আমরা পৃথিবী জয় করে ফেলেছি ,আমাদের কোন স্রষ্টার প্রয়োজন নেই(যেমনঃ ডারউইন, হকিং) তারা চিরন্তন জীবনের কথা ভুলে যাবে। আর মুসলিমরা সে প্রযুক্তি আবিষ্কারের পিছে পড়ে সময় নষ্ট করবেনা, আখিরাত ভুলবে না,বরং সে প্রজুক্তিকে দ্বীনের কাজে ব্যাবহার করে নেকি অর্জন করবে । এজন্য মুসলিমদের উচিত ছিল যখনই তারা Oxfordian / Cambridgean/ CERNIAN দের থেকে জানতে পারল যে পৃথিবীর প্রাকৃতিক সম্পদ পুরিয়ে আসছে, তখন আল্লাহর এ বাণী স্মরণ করা :
"আর আমার কাছেই আছে সবকিছুর ভাণ্ডার, আমি সবকিছুই পরিমাণমতো পাঠিয়েছি , (যা দিয়ে কিয়ামত পর্যন্ত পৃথিবীর চাকা ঘুরবে) "। (হিজরঃ ২১)
#বি.দ্র: মুসলিমরাও পারত যদি তাকওয়া অবলম্বন করে গবেষণা করত(যেমনঃ খলিফা আল-মামুনের সময় অসংখ্য মুসলিম বিজ্ঞানীর আবির্ভাব হয়েছিল) , কিন্তু তারা বর্তমানে পারছেনা কারণ সায়েন্স শিখতে গেলে তারা আল্লাহকে ভুলে যায়। {চোখ মেলে চারপাশ দেখুন}
“আল্লাহকে ভুলে মুসলমান কোনদিন বৈষয়িক অগ্রগতি লাভ করতে পারেনি, পারবেওনা”।
** অতএব, যখন জানা গেল প্রাকৃতিক সম্পদ শেষ হয়ে আসছে, তখন মুসলমানদের উপলব্ধি করা উচিত ছিল "কেয়ামত সন্নিকটে " পৃথিবীর যৌবন পুরিয়ে আসছে (productivity power finished) .
তাদের উচিত ছিল কোরআনের দিকে ফিরে আসা, আখেরাতের প্রস্তুতি নেয়া। কিন্তু এটা না করে, তারাও দুনিয়ার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে, কোরআন থেকে দূরে সরে আছে ,দুনিয়ার মহব্বত এদের মধ্যে প্রবল হওয়ায় এদের অন্তর মৃত হয়ে গেছে, এদের পাপের পাল্লা বেশ ভারী হয়েছে, যে প্রযুক্তি কাফের নামক বলদ দিয়ে এদের জন্য প্রস্তুত করেছি, নেকি অর্জনের জন্য ,এরা সে প্রযুক্তিকে “PORNOGRAPHY” এর বাহন হিসেবে গ্রহন করেছে
এ জন্যই রাগান্বিত হয়ে , মুসলিম উম্মাহর প্রতি অসন্তুষ্ট হয়ে আল্লাহ তাদেরকে বিভিন্ন সমস্যায় ( যেমনঃ রাজনৈতিক সংকট ,যুদ্ধবিগ্রহে )নিমজ্জিত রেখেছেন। কারণ এদেরকে সৃষ্টিই করা হয়েছে আল্লাহর ইবাদতের জন্য। তবে আল্লাহর এ রাগটা কিছুটা অভিমানের মত। এখনও যদি তারা দৃঢ় তাওবাহ করে কোরআনের দিকে ফিরে আসে তবে তিনি ক্ষমা করে দিবেন ।। কারন আল্লাহ বলেনঃ
“হে মুমিনগন ! তোমরা আল্লাহর কাছে একান্তচিত্তে তাওবাহ্ কর , যাতে তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের মন্দ কর্মগুলোকে মোচন করে দেন এবং তোমাদেরকে প্রবেশ করান এমন জান্নাতে যার পাদদেশে ঝর্ণা প্রবাহিত। সেদিন আল্লাহ নবী ও তাঁর মু'মিন বান্দাদের অপদস্হ করবেননা। " (তাহরীম : ৮)

**করণীয়ঃ
************
১। সকল গুনাহ থেকে তাওবাহ করা।
২।আল্লাহর সাথে প্রেম করা। আর আল্লাহ তায়ালার প্রেমে পড়ার আলামত গভীর রজনীর সাক্ষাত(তাহাজ্জুদ)।
৩।নিজ-নিজ দেশের মাতৃভাষায় দক্ষতা অর্জনও ইংরেজিতে পারদর্শিতা লাভ করা।
৪। কোন গুনাহ হয়ে গেলে সাথে সাথে তাওবা করা।
৫। সর্বাধিক অধ্যয়নকারী জাতিতে পরিণত হওয়া। কারন এ উম্মাহর জন্য প্রথম বার্তা ছিল “পড়” । সফলতার বার্তা ছিল “মুত্তাকিদের জন্য”। (আলাকঃ১, হুদঃ ৪৯)
আর কী পড়তে হবে তাতো জানেনই : ।
৬। I.C.T শাস্ত্র জানা নিজেদের জন্য আবশ্যক করে নেয়া ,আর তাই বলা হয়েছে সূরা “আলাকের” চার নাম্বার আয়াতে ।( তিনি মানুষকে শিক্ষা দিয়েছেন অত্যাধুনিক কলমের (desktop, laptop, tab, smartphones ) মাধ্যমে, (সেকেলে কলম দিয়ে নয়, আধুনিক যুগের জন্য এ ব্যাখ্যা, কম্পিউটার আবিষ্কার হওয়ার পর।) , কারন দাজ্জালের সাথে ইমাম মাহদি আঃ এর চূড়ান্ত যুদ্ধের পূর্বে একটা “intellectual war” হবে, আর সেজন্যই i.c.t আজ ধাবমান ঘোড়া, মাদ্রাসাতেও ডুকে পড়েছে ,শুধু সেকেলে আর বোকারাই মনে করে ক্ষতি হয়েছে । এ যুদ্ধে মুসলিমরা জয়ী হবে , আর তাই” I am looking for some “ALLAH-LOVING YOUNGSTERS” . আর তাই U HABE TO বুঝতে হবে ।
৭। বুকে বিদ্ধ তীর আজ খুলে তা তাদের বুকে বসিয়ে দেয়ার সময় এসে গেছে।
ইনশাআল্লাহ অচিরেই, OXFORD’IAN/CAMBRIDGE’AN/CERN’IAN,NASA’N (EINSTEIN,STEPHEN HAWKINGS, DARUIN) ও তাদের দোসররা (আমাদের দেশের: জাফর, হুমায়ূন, আযাদ, টোষলিমা,এইডস ,কাজ্জাবী,শামসুরা, মাথা চাপড়াবে । (হে আল্লাহ ! এদেরকে তুমি হেদায়েত দিয়ে দাও)
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সেটাই প্রায় পনেরশত বছর পুরবে জানিয়ে দিয়েছেনঃ
“তারা(অবিশ্বাসীরা) চাচ্ছে যে, আল্লাহর নূরকে নিজেদের মুখের ফুঁৎকার দ্বারা নিভিয়ে দিবে , অথচ আল্লাহ স্বীয় নূর (ইসলামকে) কে পূর্ণত্বে পৌঁছানো ব্যতীত ক্ষান্ত হবেন না,যদিও কাফিররা(ইহুদী- খ্রিষ্টান) তা অপছন্দ করে”।
“তিনি তো সেই সত্তা যিনি নিজ রাসূলকে হিদায়াত (আল-কোরআন) ও সত্য দ্বীন সহকারে প্রেরণ করেছেন,যেন তাকে সকল দ্বীনের উপর বিজয়ী করে দেন ,যদিও মুশরিকরা তা অপছন্দ করে “। (আত্তাওবাহঃ ৩২-৩৩)
মহা কৌশলী আল্লাহ তাআলা আমাদের তাকওয়া ও প্রজ্ঞা আরও বাড়িয়ে দিন, আমাদের তাওফিক দিন। আমিন, আমিন। ইয়া রাব্বাল আলামিন।
(১১ রবি, সানি, ১৪৩৬ হিজরি।)
[ক্ষণিকের মুসাফির,ফাহাদ]

No comments:

Post a Comment

Thanks A Lot For Visit my Islamic Blog .