এক নজরে ফেলের সংজ্ঞা এবং প্রকারসমূহ

 এক নজরে ফেলের সংজ্ঞা এবং প্রকারসমূহ



-----------------------------------------------------------
এক বাক্যে ফেলের ১০০০ এক হাজার প্রশ্নোত্তর থেকে এখানে মাত্র ১০০ উল্লেখ করা হয়েছে। বিস্তারিত পাবেন এক বাক্যে নাহু সরফের প্রশ্নোত্তর বইয়ের মধ্যে।
----------------------------------------------------------------
অর্থ, সংজ্ঞা অথবা উদাহরণ নয়- আলোচ্য অংশে ফেলের সব ধরণের প্রকারসমূহ উল্লেখ করা হয়েছে।
১. مَفْعُول তথা কর্ম হিসেবে فِعْل দুই প্রকার :
(১) لَازِم, (২)مُـتَـعَـدِّي
২. فاعل তথা কর্তা হিসেবে فِعْلُ দুই প্রকার :
(১) مَـعْـرُوف, (২)مَـجْـهُـول
৩. কালের দিক থেকে فِعْلُ তিন প্রকার :
(১) مَاضِى, (২) حال, (৩) مُسْـتَـقْبِـل
৪. রূপান্তরের দিক থেকে فِعْلُ দুই প্রকার :
(১) مُتَصَرِّفَةُ, (২) غَيْرُ مُتَصَرِّفة (جَامِدَةٌ)
৫. গঠনের দিক থেকে فِعْلُ তিন প্রকার :
(১) مَاضِى, (২) مُضَارِع, (৩) امر
৬. ক্রিয়ার মূল অক্ষর হিসেবে فِعْلُ দুই প্রকার :
(১) مُجَرَّدٌ, (২) مَزِيْدٌ فِيْهِ
৭. সম্পন্ন এবং অসম্পন্নের বিবেচনায় فِعْلُ দুই প্রকার : (১) فِعْلُ تَام, (২) فِعْلُ نَاقِص
ফেলে মাযি فِعْلُ مَاضِي ছয় প্রকার
------------------------------------------------
مَاضِى مُطْـلَـق (সাধারণ অতীত) :
যেমন :قَرَأتُ (আমি পড়লাম)।
مَاضِى قَـرِيـب (নিকটবর্তী অতীত) :
যেমন :قَدْ قَرَأتُ (আমি এমাত্র পড়লাম)।
مَاضِى بَـعِـيـد (দূরবর্তী অতীত) :
যেমন :كُنْتُ قَرَأتُ (আমি অনেক আগে পড়লাম)।
مَاضِى إحْـتِـمَالِى (সম্ভাবনাসূচক অতীত) :
যেমন :لَعَلَّمَا قَرَأتُ (সম্ভবতঃ আমি পড়লাম)।
مَاضِى تَـمَنَّـى (আকাংখাসূচক অতীত) :
যেমন :لَيْـتَمَا قَرَأتُ (যদি আমি পড়তাম)।
مَاضِى إسْـتِـمْـرَارِى (চলমান অতীত) :
যেমন : كَا نَ يَـقْـرَأُ (সে পড়ছে)।
ফেলে মুযারে فِعْلُ مُضَارِعকে পাঁচভাগে ভাগ করা যায়
فِعْل مُضَارِع مُثْبَت (হ্যাঁ-সূচক বর্তমান ও ভবিষ্যতকালিন ক্রিয়া) : যেমন :يَـفْعَلُ
فِعْل مُضَارِع مَنْفِي (না-সূচক বর্তমান ও ভবিষ্যতকালিন ক্রিয়া) : যেমন :لَا يَـفْعَلُ
فِعْل مُضَارِع مَنْفِي بَلَمِ جِحَد (لَمْ যোগে না-বাচক অস্বীকারজ্ঞাপক বর্তমান ও ভবিষ্যতকালিন ক্রিয়া) : যেমন :لَـمْ يَـفْعَلْ
فِعْل مُضَارِع مَنْفِي بِلَنِ مُؤكَّد (لَنْ যোগে না-বাচক দৃঢ়তাসূচক বর্তমান ও ভবিষ্যতকালিন ক্রিয়া) :
যেমন :لَـنْ يَـفْعَلَ
فِعْل مُضَارِع مُؤكَّد بَلاَمِ وَ نُوْنِ التَّاكِيد (দৃঢ়তাবাচক لএবংن যোগে নিশ্চয়তাসূচক ভবিষ্যতকালিন ক্রিয়া) : যেমন :لَيَـفْعَلَنَّ
৮. اَفْعَال قُـلُوب (সাতটি) : একাধিক مفعول কে যবর দেয়। যেমন : عَلِمْتُ زَيْدًا قَائِمًا
حَسِبْتُ، عَلِمْتُ، وَجَدْتُ، خِلْتُ، رَايْتُ، ظَنَنْتُ، زَعَمْتُ.
৯. اَفْعَال مَدْحُ وَ ذَم (৪টি) :فاعل ওمخصوص فاعل কে পেশ দেয়। যেমন :نِعْمَ الرَّجُلُ زَيْدٌ
نِعْمَ، بِئْسَ، سَاءَ، حَبَّذَا.
১০. اَسْمَاء اَفْعَال (৯টি) :حَيَّهَـلْ، هَـلُّـمَّ، عَـلَـيْـكَ، رُوَيْـدَ، بَلَهَ، دُوْنَـكَ، هَـيْـهَـاتَ، شَـتَّـانَ، سَرْعَـانَ.
১১. اَفْعَال مُـقَارَبَة (৬টি) : ইসিমকে পেশ এবং খবরকে যবর দেয়। যেমন : عَسَي زَيْدٌ اَنْ يَفُوْزَ
عَسَي، كَادَ، كَرُبَ، اَوْشَكَ، اِخْلَوْلَقَ، حَرٰي.
১২. اَفْعَالُ نَاقِصَة (১৩টি) :جُمْلَة اِسْمِيَّة এর প্রথমে আসিয়া ইসিমকে পেশ এবং খবরকে যবর দেয়।
যেমন- كَانَ زَيْدٌ قَائِمًا
كَانَ، صَارَ، اَصْبَحْ، اَمْسَي، ظَلَّ، بَاتَ، مَادَامَ، اَضْحَي، لَيْسَ، مَازَالَ، مَابَرِحَ، مَافَتَي، مَااَنْفَكَ.
১৩. نَوَاصِبُ الاِسْمِ الْـمُنْـكَر (৪টি) :
كَمْ، كَذَا، كَاَيِّنْ، اَحَدَ عَشَرَ/تِسْعَ عَشَرَ
১৪. اَفْعَال تَعَجُّب দুইটি ওজন আছে :
১) مَا اَفْعَلَهُ ২) اَفْـعَـلُ بِهِ
১৫. حُرُوْف مُشَبَّهةُ بِالْفِعْلِ (৬টি) :
إنَّ، أنَّ، كَانَّ، لَكِنَّ، لَيْتَ، لَعَلَّ
১৬. اَفْعَال تَحْوِيْلِ (৭টি) :
وَهَبَ، طَفِقَ، اِتَّخَذَ، اَخَذَ، تَـرَكَ، رَدَّ، صَبَرَ
১৭. اَفْعَال رُجْحَانَ (৭টি) :
ظَنَّ، هَبْ، حَسِبْ، زَعَمَ، عَـدَّ، حَجَا، خَالَ
১৮. اَفْعَال يَقِيْن (৭টি) :
عَلِمَ، تَعْـلِـمْ بِمَـعْـنٰي اَعْـلِـمْ، وَجَدَ، دَرَاي، اَلْـفَيَ، جَعَلَ، رَايَ
১৯. اَفْعَال رَجَاء (৩টি) :عَسَي، حَرَي، اِخْلَوْلَـقَ
২০. اَفْعَال شُرُوْع (৯টি) :
شَرَعَ، اَنْـشَأ، طَفِقَ، اَخَذَ، عَلَّقَ، صَبَّ، جَعَلَ، هَـلْـهَـلَ، قَامَ
২১. تَنَازَعُ الْفِعْلَيْنِ : যখন দুইটি فِعلْবা ক্রিয়া তাদের পরবর্তী কোন একটি প্রকাশ্য إسم কে নিয়ে দ্বন্দ্ব আরম্ভ করে। যেমন : ضَرَبْتُ وَاَكْرَمْتُ زَيدًا
প্রশ্নোত্তরে فِعْلٌ এর আলোচনা
---------------------------
১. প্রশ্ন: فِعْلٌঅর্থ কি?
উত্তর : কাজ, ক্রিয়া।
২. প্রশ্ন: فِعْلٌশব্দের বহুবচন কি?
উত্তর : اَفْعَالٌ
৩. প্রশ্ন: فِعْلٌকাকে বলে?
উত্তর : فِعْل এমন একটি শব্দ যা তার নিজের অর্থ নিজেই প্রকাশ করতে পারে এবং ঐ অর্থ তিনটি কালের যে কোন একটির সাথে মিলিত হয়।
৪. প্রশ্ন: فِعْلٌএর আরবী সংজ্ঞা দাও।
هُوَ كَلِمَةٌ تَدُلُّ عَلٰي مَعْنًي فِيْ نَفْسِهَا دَلَالَةً مُقْتَرِنَةً بِزَمَانِ ذٰلِكَ الْمَعْنٰي.
৫. প্রশ্ন: فِعْلٌএর উদাহরণ দাও।
উত্তর : كَتَبَ (সে লিখলো), يَكْتُبُ (সে লিখছে বা লিখবে) ইত্যাদি।
৬. প্রশ্ন: فِعْلٌএর ইংরেজী প্রতিশব্দ কি?
উত্তর : ঠবৎন
৭. প্রশ্ন: রূপান্তরভেদে فِعْل কতো প্রকার?
উত্তর : দুই প্রকার।
৮. প্রশ্ন: রূপান্তরভেদে فِعْل এর প্রকারসমূহ লেখো।
১. اَلْاَفْعَالُ الْمُتَصَرِّفَةُ ২. اَلْاَفْعَالُ غَيْرُ الْمُتَصَرِّفَةِ⁄اَلْاَفْعَالُ الْجَامِدَةُ।
৯. প্রশ্ন: اَلْاَفْعَالُ الْمُتَصَرِّفَةُ অর্থ কি?
উত্তর : রূপান্তরশীল ক্রিয়াসমূহ।
১০. প্রশ্ন: اَلْاَفْعَالُ الْمُتَصَرِّفَةُ কাকে বলে?
উত্তর : যে সকল فعل তথা ক্রিয়া مَاضِي، مَضَارِع، اَمْر ও نَهِي ইত্যাদিতে রূপান্তরিত হয়।
১১. প্রশ্ন: اَلْاَفْعَالُ الْمُتَصَرِّفَةُ এর উদাহরণ দাও।
উত্তর : যেমন : نَصَرَ, يَنْصُرُ, اُنْصُرْ ও لَا تَنْصُرْ ইত্যাদি।
১২. প্রশ্ন: اَلْاَفْعَالُ الْمُتَصَرِّفَةُ এর অপর নাম কি?
উত্তর : اَلْاَفْعَالُ الْجَامِدَةُ
১৩. প্রশ্ন: اَلْاَفْعَالُ الْجَامِدَةُ অর্থ কি?
উত্তর : রূপান্তরহীন ক্রিয়াসমূহ।
১৪. প্রশ্ন: اَلْاَفْعَالُ الْجَامِدَةُ কাকে বলে?
উত্তর : যে সকল فعل তথা ক্রিয়ার مَاضِي বা اَمْر-এর রূপান্তর ব্যতীত অন্য কোন রূপান্তর হয় না, সেগেুলোকে اَلْاَفْعَالُ الْجَامِدَة বাاَلْاَفْعَالُ غَيْرُ الْمُتَصَرِّفَةِ বলে।
১৫. প্রশ্ন: اَلْاَفْعَالُ الْجَامِدَةُ এর উদাহরণ দাও।
উত্তর : كَرُبَ، عَسَي، تَعَال
১৬. প্রশ্ন: গঠনগতভাবে فِعْل কতো প্রকার?
উত্তর : তিন প্রকার।
১৭. প্রশ্ন: গঠনগতভাবে فِعْل এর প্রকারসমূহ লেখো।
উত্তর : ১. اَلْفِعْلُ الْمَاضِي ২. اَلْفِعْلُ الْمُضَارِع ৩. فِعْلُ الْاَمْرِ
১৮. প্রশ্ন: اَلْفِعْلُ الْمَاضِي অর্থ কি?
উত্তর : অতীতকালীন ক্রিয়া।
১৯. প্রশ্ন: اَلْفِعْلُ الْمَاضِي কাকে বলে?
উত্তর : যে فِعْلٌ দ্বারা অতীতকালে কোন কাজ করা বা হওয়া বোঝায়।
২০. প্রশ্ন: اَلْفِعْلُ الْمَاضِي এর আরবী সংজ্ঞা দাও।
উত্তর : هُوَ مَا دَلَّ عَلٰي حَالَةٍ اَوْ حَدَثٍ فِيْ زَمَانٍ قَبْلَ الَّذِيْ أنْتَ فِيْهِ.
২১. প্রশ্ন: বাংলা বাক্যেفِعْل مَاضِى চেনার উপায় কি?
উত্তর : বাংলা বাক্যেفِعْل مَاضِى এর নিদর্শন- ল, লে, লাম, লেন (সে করিল, তুমি করিলে, আমি করিলাম)।
২২. প্রশ্ন: اَلْفِعْلُ الْمَاضِي এর উদাহরণ দাও।
উত্তর : যেমন- كَتَبْتُ (আমি লিখেছি), قَرَأتَ (তুমি পড়েছো)।
২৩. প্রশ্ন: اَلْفِعْلُ الْمُضَارِع অর্থ কি?
উত্তর : বর্তমান ও ভবিষ্যৎকালিন ক্রিয়া।
২৪. প্রশ্ন: اَلْفِعْلُ الْمُضَارِع কাকে বলে?
উত্তর : যে فِعْل বর্তমান বা ভবিষ্যৎকালে কোন কাজ করা বোঝায়।
২৫. প্রশ্ন: اَلْفِعْلُ الْمُضَارِع এর মধ্যে কয়টি কাল থাকবে?
উত্তর : দুইট।
২৬. প্রশ্ন: اَلْفِعْلُ الْمُضَارِع এর দুইটি কাল কি কি?
উত্তর :مُسْـتَـقْـبِل ও حَال
২৭. প্রশ্ন: বাংলা বাক্যে اَلْفِعْلُ الْمُضَارِع চেনার উপায় কি?
উত্তর : বাংলা বাক্যেفِعْل حَال এর নিদর্শন- ছি, ছ, ছে, ছেন (আমি করছি, তুমি করছ, সে করছে)।
বাংলা বাক্যে فِعْل مُسْـتَـقْبِـل এর নিদর্শন- বি, ব, বে, বেন (সে করিবে, আপনি করিবেন, আমি করিব)।
২৮. প্রশ্ন: اَلْفِعْلُ الْمُضَارِع এর উদাহরণ দাও।
উত্তর : যেমন- تَجْلِسُ (তুমি বসেছো বা বসবে),
اَنْصُرُ (আমি সাহায্য করছি বা করবো)।
২৯. প্রশ্ন: فِعْلُ الْاَمْر অর্থ কি?
উত্তর : আদেশসূচক ক্রিয়া।
৩০. প্রশ্ন: فِعْلُ الْاَمْر কাকে বলে?
উত্তর : যে فِعْلٌ দ্বারা কোন কাজ করার আদেশ, নির্দেশ কিংবা অনুরোধ করা বুঝায়।
৩১. প্রশ্ন: فِعْلُ الْاَمْر এর উদাহরণ দাও।
উত্তর : যেমন- اِجْلِسْ (তুমি বস), اُنْصُرْ (তুমি সাহায্য করো)।
৩২. প্রশ্ন: فِعْل النَّهِي অর্থ কি?
উত্তর : নিষেধসূচক ক্রিয়া।
৩৩. প্রশ্ন: فِعْل النَّهِي কাকে বলে?
উত্তর : যে فِعْل দ্বারা কোন কাজ না করার আদেশ, নির্দেশ কিংবা অনুরোধ করা হয়।
৩৪. প্রশ্ন: فِعْل النَّهِي কার অংশ?
উত্তর : এটি মূলত فِعْل الْمُصَارِع -এর একটি বিশেষ রূপ।
৩৫. প্রশ্ন: فِعْل النَّهِي এর উদাহরণ দাও।
উত্তর : لَا تَجْلِسْ (তুমি বসো না), لاَ تَنْصُرْ (তুমি সাহায্য কর না)।
৩৬. প্রশ্ন: فاعل তথা কর্তার বিবেচনায় فِعْل কতো প্রকার?
উত্তর : দুই প্রকার।
৩৭. প্রশ্ন: فاعل তথা কর্তার বিবেচনায় فِعْل এর প্রকারসমূহ লেখো।
উত্তর : ১. اَلْفِعْلُ الْمَعْرُوف ২. اَلْفِعْلُ الْمَجْهُول
৩৮. প্রশ্ন: اَلْفِعْلُ الْمَعْرُوف অর্থ কি?
উত্তর : কর্তৃবাচক ক্রিয়া।
৩৯. প্রশ্ন: اَلْفِعْلُ الْمَعْرُوف কাকে বলে?
উত্তর : যে ক্রিয়ার فاعل উল্লেখ থাকে।
৪০. প্রশ্ন: اَلْفِعْلُ الْمَعْرُوف এর উদাহরণ দাও।
উত্তর : যেমন- أكَلَ سَاجِدٌ (সাজেদ খেয়েছে)। অর্থাৎ, সাজেদ কর্তৃক খাওয়ার কাজ সম্পাদিত হয়েছে, এটি বাক্যে উল্লেখ আছে।
৪১. প্রশ্ন: اَلْفِعْلُ الْمَجْهُولُ অর্থ কি?
উত্তর : কর্মবাচক ক্রিয়া।
৪২. প্রশ্ন: اَلْفِعْلُ الْمَجْهُولُ কাকে বলে?
উত্তর : যে ক্রিয়ার فاعل উল্লেখ থাকে না।
৪৩. প্রশ্ন: اَلْفِعْلُ الْمَجْهُولُ এর উদাহরণ দাও।
উত্তর : كُتِبَ (লেখা হয়েছে), এখানে লেখকের নাম উল্লেখ নেই।
৪৪. প্রশ্ন: কোন ফেলকে اَلْفِعْلُ الْمَجْهُول-এ রূপান্তর করা যায়?
উত্তর : শুধু اَلْفِعْلُ الْمُتَعَدِّي কে اَلْفِعْلُ الْمَجْهُول বানানো যায়।
৪৫. প্রশ্ন: مَفْعُول তথা কর্ম হিসেবে فِعْل কতো প্রকার?
উত্তর : দুই প্রকার।
৪৬. প্রশ্ন: مَفْعُول হিসেবে فِعْل এর প্রকারসমূহ লেখো।
উত্তর : ১. اَلْفِعْلُ اللَّازِمُ ২. اَلْفِعْلُ الْمُتَعَدِّي
৪৭. প্রশ্ন: اَلْفِعْلُ اللَّازِمُ অর্থ কি?
উত্তর : অকর্মক ক্রিয়া।
৪৮. প্রশ্ন: اَلْفِعْلُ اللَّازِمُ কাকে বলে?
উত্তর : অর্থ নির্দেশ করার জন্য যে فِعْل-এর مَفْعُولٌ به প্রয়োজন নেই।
৪৯. প্রশ্ন: اَلْفِعْلُ اللَّازِمُ এর উদাহরণ দাও।
উত্তর : ذَهَبَ بَكْرٌ (বকর গিয়েছে)।
বাক্যে ذَهَبَ অর্থ বোঝানোর জন্য কোনো مَفْعُول-এর প্রয়োজন হয় না।
৫০. প্রশ্ন: اَلْفِعْلُ الْمُتَعَدِّي অর্থ কি?
উত্তর : কর্মবাচক ক্রিয়া।
৫১. প্রশ্ন: اَلْفِعْلُ الْمُتَعَدِّي কাকে বলে?
উত্তর : অর্থ নির্দেশ করার জন্য যে فِعْل-এর مَفْعُولٌ به প্রয়োজন হয়।
৫২. প্রশ্ন: اَلْفِعْلُ الْمُتَعَدِّي এর উদাহরণ দাও।
উত্তর : যেমন- نَصَرَ بَكْرٌ زَيْدًا (বকর যায়েদকে সাহায্য করেছে)। বাক্যে زيدا শব্দটি مَفْعُولٌ به।
৫৩. প্রশ্ন: কোন প্রকার ফেল اَلْفِعْلُ الْمَجْهُول তে রূপান্তর হয়?
উত্তর : একমাত্র اَلْفِعْلُ الْمُتَعَدِّي কে اَلْفِعْلُ الْمَجْهُول বানানো যায়।
৫৪. প্রশ্ন: ইতিবাচক ও নেতিবাচক বিচারে فِعْل কতো প্রকার?
উত্তর : দুই প্রকার।
৫৫. প্রশ্ন: ইতিবাচক ও নেতিবাচক বিচারে فِعْل এর প্রকার লেখো।
উত্তর : ১. اَلْفِعْلُ الْمُثْبَتُ ২. اَلْفِعْلُ الْمَنْفِيُّ
৫৬. প্রশ্ন: اَلْفِعْلُ الْمُثْبَت অর্থ কি?
উত্তর : হ্যাঁবাচক ক্রিয়া।
৫৭. প্রশ্ন: اَلْفِعْلُ الْمُثْبَت কাকে বলে?
উত্তর : যে فعْل দ্বারা কোন কাজ সংঘটিত হওয়া বা করা বোঝায়।
৫৮. প্রশ্ন: اَلْفِعْلُ الْمُثْبَت এর উদাহরণ দাও।
উত্তর : যেমন- ذَهَبَ সে গিয়েছে, يَسْمَعُ (সে শ্রবণ করছে বা করবে)।
৫৯. প্রশ্ন: اَلْفِعْلُ الْمَنْفِي অর্থ কি?
উত্তর : নাবাচক ক্রিয়া।
৬০. প্রশ্ন: اَلْفِعْلُ الْمَنْفِي কাকে বলে?
উত্তর : যে فعْل দ্বারা কোন কাজ সংঘটিত না হওয়া বা না করা বোঝায়।
৬১. প্রশ্ন: اَلْفِعْلُ الْمَنْفِي এর উদাহরণ দাও।
উত্তর : ما ذَهَبَ সে যায়নি, لا يَسْمَعُ সে শ্রবণ করছে না বা করবে না।
৬২. প্রশ্ন: ক্রিয়ার মূল অক্ষর হিসেবে فِعْل কতো প্রকার?
উত্তর : দুই প্রকার।
৬৩. প্রশ্ন: ক্রিয়ার মূল অক্ষর হিসেবে فِعْل এর প্রকারসমূহ লেখো।
উত্তর : ১. اَلْفِعْلُ الْمُجَرَّدُ ২. اَلْفِعْلُ الْمَزِيْدُ فِيْهِ
৬৪. প্রশ্ন: اَلْفِعْلُ الْمُجَرَّد অর্থ কি?
উত্তর : অতিরিক্ত অক্ষর মুক্ত।
৬৫. প্রশ্ন: اَلْفِعْلُ الْمُجَرَّد কাকে বলে?
উত্তর : যে فعْل-এর অতীতকালের وَاحِدٌ مُذَكَّرٌ غَائِبٌ-এর সীগায় কোন অতিরিক্ত অক্ষর থাকে না।
৬৬. প্রশ্ন: اَلْفِعْلُ الْمُجَرَّد এর উদাহরণ দাও।
উত্তর : যেমন- فعْل, ذَهَبَ, سَمِعَ, بَعْثَرَ ইত্যাদি।
৬৭. প্রশ্ন: اَلْفِعْلُ الْمَزِيْدُ فِيْهِ অর্থ কি?
উত্তর : অতিরিক্ত অক্ষরযুক্ত।
৬৮. প্রশ্ন: اَلْفِعْلُ الْمَزِيْدُ فِيْهِ কাকে বলে?
উত্তর : যে فعْل-এর অতীতকালের وَاحِدٌ مُذَكَّرٌ غَائِبٌ-এর সীগায় অতিরিক্ত অক্ষর থাকে।
৬৯. প্রশ্ন: اَلْفِعْلُ الْمَزِيْدُ فِيْهِ এর উদাহরণ দাও।
উত্তর : যেমন- اِجْتَنَبَ, تَسَرْبَلَ ইত্যাদি।
৭০. প্রশ্ন: সময়ের তারতম্য অনুসারে فِعْلُ مَاضِيْ কত প্রকার?
উত্তর: فِعْلُ مَاضِىْ (অতীত কাল) ৬ প্রকার।
৭১. প্রশ্ন: فِعْلُ مَاضِيْ এর প্রকারগুলো লিখো।
مَاضِيْ مُطْلَقْ، مَاضِيْ قَرِيبْ، مَاضِيْ بَعِيدْ، مَاضِيْ إحْـتِـمَالِى، مَاضِيْ تَمَنَّي، مَاضِيْ اِسْتِمْرَارِيْ-
৭২. প্রশ্ন:مَاضِىْ مُطْـلَـقْ অর্থ কি?
উত্তর: সাধারণ অতীত কাল।
৭৩. প্রশ্ন:مَاضِىْ مُطْـلَـقْ কাকে বলে?
উত্তর: যে فِعل (ক্রিয়া) দ্বারা সাধারণভাবে অতীত কালে কোন কাজ করলো বা সংঘটিত হলো বোঝায়।
৭৪. প্রশ্ন:مَاضِىْ مُطْـلَـقْ এর গঠনপ্রণালী লেখো।
উত্তর: مَاضِى مُطْـلَـق সাধারণত مَصْدَر তথা ক্রিয়ামূল থেকে গঠিত হয়। তিন অক্ষরবিশিষ্ট فِعل এর فاء কালেমায় فَتْحَة (যবর) এবং عين কালেমায় বাব অনুযায়ী ضُمَّة (পেশ), فَتْحَة (যবর) বা كَسْرَة যের) দিয়ে لام কালেমায় فَتْحَة (যবর) দিলে مَاضِى مُطْـلَـق এর وَاحِد مُذَكَّر غَائِب এর সীগাহ গঠিত হয়।
৭৫. প্রশ্ন:مَاضِىْ مُطْـلَـقْ (সাধারণ অতীত)-এর উদাহরণ দাও।
উত্তর: যেমন- قَرَأ (সে পড়লো)।
৭৬. প্রশ্ন: مَاضِى مُطْـلَـق مَـعْـرُوف -এর গর্দানগুলো লেখো।
فَعَلَ، فَعَلَا، فَعَلُوْا، فَعَلَتْ، فَعَلَتَا، فَعَلْنَ، فَعَلْتَ، فَعَلْتُمَا، فَعَلْتُمْ، فَعَلْتِ، فَعَلْتُمَا، فَعَلْتُنَّ، فَعَلْتُ، فَعَلْنَا-
৭৭. প্রশ্ন: مَاضِى مُطْـلَـق مَـجْـهُـول -এর গর্দানগুলো লেখো।
فُعِلَ، فُعِلَا، فُعِلُوْا، فُعِلَتْ، فُعِلَتَا، فُعِلْنَ، فُعِلْتَ، فُعِلْتُمَا، فُعِلْتُمْ، فُعِلْتِ، فُعِلْتُمَا، فُعِلْتُنَّ، فُعِلْتُ، فُعِلْنَا-
৭৮. প্রশ্ন: مَاضِى قَـرِيـبঅর্থ কি?
উত্তর: নিকটবর্তী অতীত কাল।
৭৯. প্রশ্ন: مَاضِى قَـرِيـب কাকে বলে?
উত্তর: যে فعل দ্বারা ক্রিয়া দ্বারা অতীত কালের নিকটতম সময়, অর্থাৎ, কিছুক্ষণ পূর্বে কোন কাজ সংঘটিত হয়েছে বোঝায়।
৮০. প্রশ্ন: مَاضِى قَـرِيـب এর গঠনপ্রণালী লেখো।
উত্তর: فعل مَاضِى مُطْـلَـق-এর সীগাহসমূহের পূর্বে قد যোগ করলে مَاضِى قَـرِيـب এর ১৪টি صيغة গঠিত হয়। قد শব্দটি সর্বদা অপরিবর্তিত থাকবে।
৮১. প্রশ্ন: مَاضِى قَـرِيـب -এর একটি উদাহরণ দাও।
উত্তর: যেমন- قد قرأ (সে এইমাত্র পড়লো),
قَدْ قَرَأتُ (আমি এইমাত্র পড়লাম)।
৮২. প্রশ্ন: مَاضِى قَـرِيـب مَـعْـرُوف -এর গর্দানগুলো লেখো।
قد فَعَلَ، قد فَعَلَا، قد فَعَلُوْا، قد فَعَلَتْ، قد فَعَلَتَا، قد فَعَلْنَ، قد فَعَلْتَ، قد فَعَلْتُمَا، قد فَعَلْتُمْ، قد فَعَلْتِ، قد فَعَلْتُمَا، قد فَعَلْتُنَّ، قد فَعَلْتُ، قد فَعَلْنَا
৮৩. প্রশ্ন: مَاضِى قَـرِيـب مَـجْـهُـول -এর গর্দানগুলো লেখো।
قد فُعِلَ، قد فُعِلَا، قد فُعِلُوْا، قد فُعِلَتْ، قد فُعِلَتَا، قد فُعِلْنَ، قد فُعِلْتَ، قد فُعِلْتُمَا، قد فُعِلْتُمْ، قد فُعِلْتِ، قد فُعِلْتُمَا، قد فُعِلْتُنَّ، قد فُعِلْتُ، قد فُعِلْنَا.
৮৪. প্রশ্ন: مَاضِى بَـعِـيـدঅর্থ কি?
উত্তর: (দূরবর্তী অতীত কাল)।
৮৫. প্রশ্ন: مَاضِى بَـعِـيـد কাকে বলে?
উত্তর: যে فعل ماضي দ্বারা দূরবর্তী অতীত কালে কোন কাজ করেছিল বা হয়েছিল বোঝায়।
৮৬. প্রশ্ন: مَاضِى بَـعِـيـد এর গঠনপ্রণালী লেখো।
গঠনপ্রণালী : ماضي مطلق-এর পূর্বে كَانَ যোগ করলে مَاضِى بَـعِـيـد এর صيغة গঠিত হয়।
৮৭. প্রশ্ন: مَاضِى بَـعِـيـد-এর একটি উদাহরণ দাও।
উত্তর: যেমন- كُنْتُ ذَهَبْتُ (আমি অনেক আগে গিয়েছিলাম), كُنَّا غَسَلْنَا (আমি অনেক আগে গোসল করেছি)।
৮৮. প্রশ্ন: مَاضِى بَـعِـيـد مَـعْـرُوف -এর গর্দানগুলো লেখো।
كَانَ فَعَلَ، كَانَا فَعَلَا، كَانُوْا فَعَلُوْا، كَانَتْ فَعَلَتْ، كَانَتَا فَعَلَتَا، كُنَّ فَعَلْنَ، كُنْتَ فَعَلْتَ، كُنْتُمَا فَعَلْتُمَا، كُنْتُمْ فَعَلْتُمْ، كُنْتِ فَعَلْتِ، كُنْتُمَا فَعَلْتُمَا، كُنْتُنَّ فَعَلْتُنَّ، كُنْتُ فَعَلْتُ، كُنَّا فَعَلْنَا.
৮৯. প্রশ্ন: مَاضِى مُطْـلَـق مَـعْـرُوف -এর গর্দানগুলো লেখো।
فَعَلَ، فَعَلَا، فَعَلُوْا، فَعَلَتْ، فَعَلَتَا، فَعَلْنَ، فَعَلْتَ، فَعَلْتُمَا، فَعَلْتُمْ، فَعَلْتِ، فَعَلْتُمَا، فَعَلْتُنَّ، فَعَلْتُ، فَعَلْنَا.
৯০. প্রশ্ন: مَاضِى مُطْـلَـق مَـجْـهُـول -এর গর্দানগুলো লেখো।
فُعِلَ، فُعِلَا، فُعِلُوْا، فُعِلَتْ، فُعِلَتَا، فُعِلْنَ، فُعِلْتَ، فُعِلْتُمَا، فُعِلْتُمْ، فُعِلْتِ، فُعِلْتُمَا، فُعِلْتُنَّ، فُعِلْتُ، فُعِلْنَا.
৯১. প্রশ্ন: مَاضِى إسْـتِـمْـرَارِىঅর্থ কি?
উত্তর: চলমান অতীত কাল।
৯২. প্রশ্ন: مَاضِى إسْـتِـمْـرَارِى কাকে বলে?
উত্তর: যে فعل দ্বারা অতীত কালে ব্যাপক সময় পর্যন্ত কোন কাজ চলছিল বোঝায়।
৯৩. প্রশ্ন: مَاضِى إسْـتِـمْـرَارِى এর গঠনপ্রণালী লেখো।
উত্তর: فِعْل مُضَارِع এর পূর্বে كَانَ যোগ করলে مَاضِى إسْـتِـمْـرَارِى হয়। كَانَ শব্দটিও মূল সীগাহর সাথে রূপান্তর হবে।
যেমন- كَانَ نصر، كَانَا نصرا، كَانُوْا نَصَرُوْا
৯৪. প্রশ্ন: مَاضِى إسْـتِـمْـرَارِى -এর একটি উদাহরণ দাও।
উত্তর: كَانَ يَكْتُبُ (সে লিখতেছিল), كَان يَكْبُرُ (সে বড় হচ্ছিল)।
৯৫. প্রশ্ন: مَاضِى إحْـتِـمَالِىঅর্থ কি?
উত্তর: সম্ভাবনামূলক অতীত কাল।
৯৬. প্রশ্ন: مَاضِى إحْـتِـمَالِى কাকে বলে?
উত্তর: যে فعل তথা ক্রিয়া দ্বারা অতীত কালে কোন কাজ সংঘটিত হওয়ার সম্ভাবনা বোঝায়।
৯৭. প্রশ্ন: مَاضِى إحْـتِـمَالِى এর গঠনপ্রণালী লেখো।
উত্তর: مَاضِى مُطْلَق এর পূর্বে لَعَلَّمَا শব্দ যোগ করে।
لَعَلَّمَا শব্দটি সবসময় একই অবস্থায় থাকবে, রূপান্তর হয় না।
৯৮. প্রশ্ন: مَاضِى إحْـتِـمَالِى -এর একটি উদাহরণ দাও।
উত্তর: যেমন- لَعَلَّمَا عَمِلَ (সম্ভবতঃ সে আমল করেছে)।
৯৯. প্রশ্ন: مَاضِى إحْـتِـمَالِى مَـعْـرُوف -এর গর্দান লেখো।
لَعَلَّمَا فَعَلَ، لَعَلَّمَا فَعَلَا، لَعَلَّمَا فَعَلُوْا، لَعَلَّمَا فَعَلَتْ، لَعَلَّمَا فَعَلَتَا، لَعَلَّمَا فَعَلْنَ، لَعَلَّمَا فَعَلْتَ، لَعَلَّمَا فَعَلْتُمَا، لَعَلَّمَا فَعَلْتُمْ، لَعَلَّمَا فَعَلْتِ، لَعَلَّمَا فَعَلْتُمَا، لَعَلَّمَا فَعَلْتُنَّ، لَعَلَّمَا فَعَلْتُ، لَعَلَّمَا فَعَلْنَا
১০০. প্রশ্ন: مَاضِى إحْـتِـمَالِى مَـجْـهُـول -এর গর্দান লেখো।
لَعَلَّمَا فُعِلَ، لَعَلَّمَا فُعِلَا، لَعَلَّمَا فُعِلُوْا، لَعَلَّمَا فُعِلَتْ، لَعَلَّمَا فُعِلَتَا، لَعَلَّمَا فُعِلْنَ، لَعَلَّمَا فُعِلْتَ، لَعَلَّمَا فُعِلْتُمَا، لَعَلَّمَا فُعِلْتُمْ، لَعَلَّمَا فُعِلْتِ، لَعَلَّمَا فُعِلْتُمَا، لَعَلَّمَا فُعِلْتُنَّ، لَعَلَّمَا فُعِلْتُ، لَعَلَّمَا فُعِلْنَا

দাঁড়ি কাটা ও দাঁড়ি শেভ করা মুসলিমদের জন্য হারাম

দাঁড়ি কাটা ও দাঁড়ি শেভ করা মুসলিমদের জন্য হারাম.




আল-কুরআন ও সুন্নাহর এবং আলেমদের অভিমতের সার-সংক্ষেপ হলো দাঁড়ি রাখা ওয়াজিব। দাঁড়ি শেভ করা বা কাটা হারাম ও নাজায়েয। কেননা রাসূলুল্লাহ ﷺ এর নির্দেশ দ্বারা এখানে ওয়াজিব বুঝায়।

দাঁড়ি রাসূলুল্লাহ ﷺ এর আদর্শ। আদেশ, আমল এবং স্বীকৃতি ইত্যাদি সর্বোতভাবে তিনি বলেছেন দাঁড়ি বড় করার কথা। সেহেতু এটা কামিয়ে ফেলা তাঁর সম্মানিত আদর্শ তথা জীবনাচরণের প্রতি চরম অবমাননা।

দাঁড়ি শেভ করলে আল্লাহর সৃষ্টিকে বিকৃত করা হয়, যা করতে তিনি নিষেধ করেছেন। মহান আল্লাহ্ তা’য়ালা বলেন মানবের সেরা শত্রু দুষ্ট ইবলিশ শয়তান বলল: “(শয়তান বলল) আর অবশ্যই আমি তাদেরকে নির্দেশ দিব, ফলে তারা আল্লাহর সৃষ্টি বিকৃত করবে”। [সূরা: আন-নিসা, আয়াত: ১১৯]

আল্লাহর সৃষ্টি বিকৃত করা দ্বারা বুঝায়, যে সব নারী শরীরে উল্কি আঁকে ও ভ্রু কাটে এবং দাঁড়ি কাটে সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য এবং আল্লাহর সৃষ্টিকে পরিবর্তন করে। আল্লাহ্ তা’য়ালা এটি নিষেধ করেছেন। [বুখারী, আস-সহীহ: ৪৮৮৬]

আলেমদের মতে দাঁড়ি শেভ করা অথবা কাটছাট করে ষ্টাইল করে রাখাও আল্লাহর সৃষ্টিকে পরিবর্তন করার মতো কাজ, যা হারাম। শেখ আলী মাহফুয আল আযহারী বলেন: চার মাযহাবের আলেমগণ একমত যে দাঁড়িকে ঘন রাখা ওয়াজিব, শেভ করা হারাম। প্রসিদ্ধ চার মাযহাবের ফিকহবিদগণও দাঁড়ি ছেড়ে দেওয়া ওয়াজিব ও কেটে ফেলা বা শেভ করাকে হারাম বলে মত প্রকাশ করেছেন।

দাঁড়ির ব্যাপারে সাহাবায়ে কেরাম ও সালাফে-সালেহীন তথা আমাদের নেককার উত্তরসূরীরাও আমাদেরকে সঠিক পথ নির্দেশনা দিয়ে গেছেন। তাদের কেউই দাঁড়ি শেভ করতেন না। দাঁড়ি শেভ করা আল্লাহর অবাধ্যতা।

মহান আল্লাহ্ তা’য়ালা বলেন: “আল্লাহ ও তাঁর রাসূল কোনো বিষয়ের ফায়সালা দিলে কোনো মুমিন পুরুষ কিংবা মুমিন নারীর জন্য সে ব্যাপারে তাদের নিজেদের কোনো রকম (ভিন্ন সিদ্ধান্তের) ইখতিয়ার থাকবে না। আর যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের নাফরমানী করল, সে নিঃসন্দেহে সুস্পষ্টভাবে গোমরাহ (পথভ্রষ্ট) হলো”। [সূরা: আল-আহযাব, আয়াত: ৩৬]

দাঁড়ি মুণ্ডানো বা ছাটা উভয়টিই গোনাহের কাজ। এটি মজুসী বা অগ্নি পূজাকারীদের কাজ। আর নবী ﷺ আমাদেরকে বিজাতি অমুসলিমদের অনুকরণ করতে নিষেধ করেছেন। হাদিসে শরীফে এসেছে–

আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন: “যে ব্যক্তি কোনো জাতির সাদৃশ্য গ্রহণ করে, সে ব্যক্তি সেই জাতিরই অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য হবে”। [আবূ দাঊদ, আস-সুনান: ৩৫১২, শাইখ আলবানী বলেন হাদিসটি হাসান সাহীহ ৩৪০১। হাদিসটিকে শাইখ আলবানী অন্যত্র সহীহ বলেছেন হিযাবুল মারআ আল-মুসলিমা: পৃ. ১০৪]

➤ মোচ না কাটার ব্যাপারে কঠিন সাবধানবাণী:

শাইখ ইবন বায (রাহি.) বলেছেন: মোচ কাটাও ওয়াজিব। মোচ ভালো করে কেটে নেওয়া উত্তম। এর অর্থ মোচ শেভ করা নয়। লম্বা-ঘন মোচ রাখা নাজায়েয ও গোনাহের কাজ। এটা করলে নবী ﷺ এর কথা ও কাজের বিরোধিতা করা হয়। রাসূলুল্লাহ ﷺ এর হাদীসে মোচ কাটতে বলা হয়েছে কামিয়ে ফেলতে বলা হয় নি।

রাসূলুল্লাহ ﷺ এর যা আদর্শ নয় তা কখনও গ্রহণযোগ্য নয়। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন: “যে কেউ এমন আমল করবে যা করতে আমরা নির্দেশ দেইনি, তা প্রত্যাখ্যাত”। [মুসলিম, আস-সহীহ: ১৭১৮]

সাহাবী যাইদ ইবনুল আরকাম (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন: “যে মোচ ছোট করে ছাটে না, সে আমার উম্মতের অর্ন্তভুক্ত নয়”। [তিরমিযী, আস-সুনান: ২৭৬১, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং: ২৭৩৮]

ইয়েমেনের শাসকের পক্ষ থেকে দু’জন লোক আল্লাহর রাসূল ﷺ এর নিকট এল। তাদের দাঁড়ি মুণ্ডানো ছিল এবং মোচ লম্বা ছিল। তাদের চেহারার দিকে তাকাতেও আল্লাহর রাসূলের কষ্ট হচ্ছিল। তিনি তাদেরকে বললেন: তোমাদের মরণ হোক! এ কাজ করতে কে তোমাদেরকে বলেছে? তারা বলল, আমাদের প্রভু (কিসরা) আমাদেরকে আদেশ করেছেন। আল্লাহর রাসূল ﷺ বললেন: “কিন্তু আমার রব আমাকে আদেশ করেছেন দাঁড়ি লম্বা রাখার ও মোচ খাটো করার”। [আল-বিদায়া ওয়ান-নিহায়া (৪/২৭০) দারুল ফিকর সংস্করণ]

ইমাম কুরতুবী (রাহি.) বলেন: দাঁড়ি শেভ করা বা উঠিয়ে ফেলা বা কাট-চাট করে ষ্টাইল করে রাখা নাজায়েয। দাঁড়ি রাখা বাড়িয়ে ও ঘন করে রাখা ফরজ। দাঁড়ি শেভকারী তার এ গোনাহকে সবার সামনে প্রকাশ করে যা অতি কঠিন হারাম কাজ। 

হাদীসে রয়েছে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন: “আমার উম্মতের সবাইকে আল্লাহর রহমতে মাফ করা হবে, তবে তারা ব্যতীত যারা গোনাহ ও নাফরমানীকে সকলের কাছে প্রকাশ করে বেড়ায়”। [বুখারী, আস-সহীহ: ৬০৬৯]

➤ হাদিসের আলোকে দাঁড়ির পরিমাপ:

দাঁড়ি এক মুষ্টি বা চার আংগুল পরিমান লম্বা রাখতে হবে। এক মুষ্টির কম রাখা বা একেবারে তা মুণ্ডিয়ে ফেলা সর্বসম্মতিক্রমে হারাম এবং কবীরা গুনাহ।

শরী‘আত প্রবর্তক কর্তৃক কোনো বিষয়ের প্রতি সাধারণ নির্দেশ আসলে তা পালন করা ওয়াজিব এবং বিপরীত করা হারাম। এছাড়া সাহাবা, সালাফে-সালেহীন এবং ফক্বীহগণের দাঁড়ি রাখার নিরবছিন্ন আমল এবং তাদের বিভিন্ন উক্তিসমূহের দ্বারা এক মুষ্টি পরিমাপ লম্বা দাঁড়ি রাখা ওয়াজিব এবং এর বিপরীত করা হল হারাম।

রাসূলুল্লাহ ﷺ, সাহাবায়ে আজমা‘ঈন, তাবেঈ, তাবে-তাবেঈ, আইম্মায়ে মুজতাহিদীন, চার মাযহাবের সকল ইমাম ও বুযুর্গবৃন্দ, আহলে হাদীস, আহলে যাহেরের আলেমগণ দাঁড়ি এক মুষ্টির চেয়ে বেশি বা কমপক্ষে একমুষ্টি বা ৪ আঙ্গুল রাখাকে ওয়াজিব কিংবা আবশ্যিক সুন্নাহ বলেছেন।

নবী মুহাম্মাদ ﷺ এর উম্মত হিসেবে কমপক্ষে এক মুষ্টি বা চার আংগুল বা কিছুটা লম্বা দাঁড়ি রাখা একজন মুসলিমের অবশ্যই কর্তব্য। কারণ এটা মুসলিমের পরিচয় বহন করে।

হাদিসের কিতাবে পাওয়া যায়, আবূ হুরায়রা (রা.) তার দাঁড়ি মুঠ করে ধরতেন। এরপর এক মুষ্ঠির অতিরিক্ত অংশ কেটে ফেলতেন। [মুসান্নাফ ইবন আবী শাইবা ১৩/১১২, হাদীস নং: ২৫৯৯২, ২৫৯৯৯]

আবদুল্লাহ ইবন উমার (রা.) যখন হজ্জ কিংবা ওমরা করতেন, তখন দাঁড়ি মুঠো করে ধরতেন এবং মুঠোর বাহিরের যা বেশি হত তা কেটে ফেলতেন। [বুখারী, আস-সহীহ: ২৭৪৩]

জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: “আমরা হজ্জ ও উমরা ছাড়া সবসময় দাঁড়ি লম্বা রাখতাম।”। [আবূ দাঊদ, আস-সুনান: ৪১৫৫]

নাফে‘ (রাহি.) বলেন, আবদুল্লাহ ইবন উমার (রা.) মুষ্টির অতিরিক্ত দাঁড়ি কেটে ফেলতেন। [ইবন আবী শাইবাহ, হাদীস নং: ২৫৯৯৭]

হাসান বসরী (রাহি.) বলেন, তারা (সাহাবী-তাবেঈন) মুষ্টির অতিরিক্ত দাঁড়ি কাটার অবকাশ দিতেন। [প্রাগুক্ত ১৩/১১২, হাদীস নং: ২৫৯৯৫]

দ্বীনের স্বার্থে পোস্টটি আপনার ওয়ালে শেয়ার বা যত খুশী কপি করতে পারেন। অনুমতি নেয়ার প্রয়োজন নেই। কেউ এটি দেখে আমল করলে তা আমাদের জন্য ইনশাআল্লাহ সাদকায়ে জারিয়া হিসাবে গণ্য হবে।