তারকীব تركيب খুব বেশি কঠিন বিষয় নয়, মাত্র ৩৫টি সূত্র আয়ত্ত করতে পারলে তারকীবভীতি দূর হবে, ইনশাআল্লাহু তায়ালা।

 তারকীব تركيب খুব বেশি কঠিন বিষয় নয়,

মাত্র ৩৫টি সূত্র আয়ত্ত করতে পারলে শিক্ষার্থীদের তারকীবভীতি দূর হবে, ইনশাআল্লাহু তায়ালা।






------------------------------------------------------------
১)مُسْنَد এর সাথে مُسْنَدُ إلَيْهِ আসা আবশ্যক :
إسْنَاد অর্থ সংযুক্ত করা, সম্পর্ক করা।
যেমন: زَيْدٌ قَائِمٌ، نَصَرَ زَيْدٌ
(যায়েদ সাহায্য করেছে, যায়েদ দন্ডায়মান)।
বাক্যে যার সম্পর্কে কিছু বলা হয় তাকে مُسْنَدُ إلَيْهِএবং যাহা বলা হয় তাকে مُسْنَد বলে।
جُمْلَةٌ فِعْلِيَّةٌ এর মধ্যে ফে‘লকে مُسْنَدএবং
ফায়েলকে مُسْنَدُ إلَيْهِবলে।
যেমন: نَصَرَ زَيْدٌ(যায়েদ সাহায্য করেছে)।
جُمْلَةٌ إسْمِيَّةٌ এর মধ্যে খবরকে مُسْنَدএবং
মুবতাদাকে مُسْنَدُ إلَيْهِবলে। যেমন: زَيْدٌ قَائِمٌ।
২) جُمْلَةٌ فِعْلِيَّةএর সাথে فِعْلٌএবং فَاعِلٌআসা আবশ্যক:
 যে বাক্য إسم দ্বারা শুরু তাকে جملة اسمية এবং
যেটি فعل দ্বারা শুরু তাকে جملة فعلية বলা হয়।
 কাজটিفعل , কাজটি যিনি করেন فاعل এবং
কাজটি যার উপর পতিত হয় তাকে مفعول বলে।
যেমন: نَصَرَ زَيْدٌ خَالِدًا
 جــمـلــة فــعـلــيــة যাহা ‘ফেল-ফায়েল” অর্থাৎ একটি ইসিম এবং একটি ফেল দ্বারা গঠিত হয়।
 جملة فعلية এর মধ্যে ফে‘লকে مسندএবং
ফায়েলকে مسند إليهবলে।
فِعْلُ + فَاعِلُ = جُمْلَةٌ فِعْلِيَّةٌ
যেমন نَصَرَ زَيْدٌ، جَاءَ عُمَرُ، قَرَأتْ فَاطِمَةُ، صَلَّي عَلِيٌّ
অর্থ- যায়েদ সাহায্য করেছে, ওমর এসছে, ফাতেমা পড়েছে, আলী নামাজ পড়েছে, ওয়ালিদ বসেছে।
৩) جُمْلَةٌ إسْمِيَّةٌএর সাথে একাধিক إسمআসা আবশ্যক:
 যে বাক্যটি إسم দ্বারা শুরু হয় তাকে جملة اسمية বলা হয়।
 এমন বাক্যে فعل এর কোন অস্তিত্ব পাওয়া যাবে না।
 جـملـة إسـمـيـة যাহা ‘মুবতাদা এবং খবর”
অর্থাৎ দুইটি ইসিম দ্বারা গঠিত হয়।
যেমন: زَيْدٌ قَائِمٌ (যায়েদ দন্ডায়মান)।
৪) مَـوْصُـــوْفএর সাথে صِــفَــةআসা আবশ্যক:
 বাক্যের মধ্যে দোষ, গুণ, অবস্থা, সংখ্যা, পরিমাণ বুঝানোকে صفتবলে।
 যেমন: زَيْدُنِ الْعَالِمُ، مَكَّةُ الْمُكَرَّمَةُ অর্থ- যায়েদ একজন জ্ঞানী, পবিত্র মক্কা।
 আর যার দোষ, গুণ, অবস্থা, সংখ্যা, পরিমাণ বুঝানো হয় তাকে موصوفবলে।
 صفت-موصوف এর জন্য ১০টি বিষয়ের মধ্যে ৪টি মিল থাকা আবশ্যক (বচন, লিঙ্গ, ইরাব, পরিচিতি)।
১. مُذَكَّر، مُؤَنَّث ২. وَاحِد، تَـثْنِيَّة، جَمَع
৩. مَعْرِفَة، نَكِرَة ৪. رَفَع، نَصَب، جَر.
 معرفة এমন একটি ইসম যাহা কোন নির্দিষ্ট ইসিমকে বুঝানোর জন্য গঠন করা হইয়াছে।
 মা‘রেফা সাত প্রকার :
১. عَلَمُ ২. مُضْمَرَات ৩. مَوْصُوْلَات ৪. اِشَارَات
৫. مُعَرَّف بِالَّلامِ ৬. الاِضَافَةُ ৭. مُنَادَي
 معرفة না হওয়াটাই نكرةএর আলামত, আর নাকিরা কখনো মুবতাদা হতে পারে না। যেমন: رَجُـلٌ عَالِـمٌ
فِعْلُ + فَاعِلُ (مَوْصُوفْ+صِفَةٌ)=جُمْلَةٌ فِعْلِيَّةٌ
যেমন: جَاءَ رَجُلٌ مَرِيْضٌ، ذَهَبَ طَالِبٌ زَكِيٌّ، رايت رجلا فقيرا
অর্থ- একজন অসুস্থ লোক এসেছে, একজন মেধাবী ছাত্র গেলো, আমি একজন দরিদ্র মানুষকে দেখেছি।
৫) حَـرْفِ جَــارএর সাথে مَجْرُور আসা আবশ্যক:
 حرف جر অর্থ যের প্রদানকারী হরফ। এ ধরনের তারকীবকে جر ও مجرور বলা হয়।
 مضاف اليه ঐ إسم কে বলা হয়, যাহার সাথে حرف جار দ্বারা কোন ব্যক্তি বা বস্তুকে সম্বন্ধ করা হয়।
 সেই হরফে জারটি প্রকাশ্য হতে পারে।
যেমন- مَرَرْتُ بِزَيْدٍ
(আমি যায়েদের পাশ দিয়ে অতিক্রম করলাম)।
 অথবা حرف جر উহ্য হবে।
যেমন- غلام زيدযাহা মূলে ছিল- غلام لزيد
(যায়েদের গোলাম)।
 حُرُوْفِ جَـــر যে ইসিমের পূর্বে সে ইসিমকে মাজরুর বলে।
 حُرُوْفِ جَـــر (ইসিমকে যের প্রদানকারী হরফ) ১৭টি:
بَ، تَ، كَ، لَامْ، واو، مُــنْـذُ، مُــذْ، خَـلَا، رُبَّ، حَـاشَا، مِنْ، عَــدَا، فـِيْ، عَــنْ، عَــليْ، حَــتّٰي، إلٰـيْ.
৬) نَـعَـتএর সাথে مَـنْـعُـوتআসা আবশ্যক :
 صفت-موصوف কে نعت- منعوتও বলা হয়। نعتঅর্থ গুণ, আর منعوتঅর্থ গুণান্বিত।
 نعت বিশেষণ: উহা ঐ تابعযাহা একক অর্থ বুঝায়, যাহা متبوع এবং متبوعএর সংশ্লিষ্ট জিনিসের মধ্যে হইবে। আরنعت কে صفتও বলা হয়।
 প্রথম প্রকার نعتএর জন্য تابع এবং متبوعএর মধ্যে দশটির মধ্যে ৪টি বিষয়ে সমতা থাকা শর্ত।
 যেমন- هَذَا قَلَمٌ جَدِيْدٌ (ইহা একটি নতুন কলম)।
৭) مُــضَــافএর সাথে مُــضَــافُ إلَــيْــهِ আসা আবশ্যক :
 বাক্যে দুইটি বস্তুর সাথে সম্পর্ক প্রকাশ করাকে إِضَافَةবলে।
 যে বস্তুর সাথে সম্পর্ক প্রকাশ করা হয় সে বস্তুকে مُضَافবলে।
 বস্তুর সাথে যার সম্পর্ক প্রকাশ করা হয় তাকে مُضَافُ إلَيْهِবলে।
 বাংলা বাক্যে শব্দের শেষে “র” থাকা إضافةএর আলামত, (করিমের বই, আল্লাহর রাসুল)।
 “মুযাফ” তিন বিষয় থেকে সবসময় মুক্ত : ক) মুযাফের শুরুতে আলিফ লাম হওয়া থেকে মুক্ত,
খ) দ্বিবচন এবং বহুবচনের নূন থেকে মুক্ত, গ) তানভীন (দুই যবর, দুই যের, দুই পেশ) থেকে মুক্ত।
 চার অবস্থায় আরবী শব্দে তানভীন দাখিল হয় না (ফেল, ইযাফত, গায়রে মুনসারিফ, আলিফ লাম)।
مُبْتَدَأ + خَبَرْ(مُضَافْ+ مُضَافُ اِلَيْهِ)= جُمْلَةٌ إسْمِيَّةٌ
যেমন- مُحَمَّدٌ رَسُولُ الله اَلْقُرْانُ كِتَابُ اللهِ،
অর্থ- কুরআন আল্লাহর কিতাব,
মোহাম্মদ (স:) আল্লাহর রাসুল।
৮) مُــبْــتَــدَإএর সাথে خَــبَــرআসা আবশ্যক:
 মুবতাদা ও খবর: বাক্যে যার সম্পর্কে কিছু বলা হয় তাকে مبتدأ এবং যাহা বলা হয় তাকে خبرবলে।
 যেমন: زَيْدٌ قَائِمٌবাক্যে زَيْدٌ মুবতাদা, আর قَائِمٌ খবর।
 মুবতাদা হওয়ার জন্য শর্ত ৭টি :
১. إسْمُ , ২.رَفْع , ৩. إبْتِدَأ, ৪. عَامِلُ مَعْنَوِي ,
৫.مُسْنَدُ إلْيْهِ , ৬.مَعْرِفَةْ ৭.نَكِرَة تَأخِيْر
 বি.দ্র: ছয়টি শর্তের মধ্যে যদি যেকোন একটি না পাওয়া যায় তাহলে মুবতাদা হবে না।
مُبْتَدَأ + خَبَرْ= جُمْلَةٌ إسْمِيَّةٌ
যেমন- اَلْإسْلَامُ حَقٌّ، اَلْكُفْرُ بَاطِلٌ، اللهُ خَالق، زَيْدٌ عَالِمٌ
অর্থ- ইসলাম সত্য, কুফর বাতিল, আল্লাহ তায়ালা সৃষ্টিকর্তা, ইহা একটি কলম, যায়েদ জ্ঞানী।
৯)تَــفْــسِــيْــر এর সাথে مُــفَــسَّــر আসা আবশ্যক:
 যেকোন শব্দের ব্যখ্যা করাকে تَـفْسِيرবলে,
আর যে শব্দের ব্যখ্যা করা হয় তাকে مُــفَــسَّــرবলে।
 حرفُ التفسير (ব্যাখ্যাদানকারী হরফ) ২টি: أيْ- أنْ
১০) بَــيَــانএর সাথে مُــبَــيَّــن আসা আবশ্যক:
 স্পষ্ট করাকে بَيَـانবলে,
আর যে শব্দকে স্পষ্ট করা হয় তাকে مُبينবলে।
 عطف بيان কোন বিশেষণ নয়, বরং এমন একটি تابع (অনুগামী) যাহা দ্বারা متبوع এর অর্থ স্পষ্ট হয়।
 কোন বস্তুর দুইটি নাম থাকলে অধিকতর প্রসিদ্ধ নামটি আতফে বয়ান হয়।
 যেমন : نَصَرَ زَيْدٌاَخُوْكَ
অর্থ- তোমার ভাই যায়েদ সাহায্য করেছে।
১১)فِــعْــلِ لَازِم এর সাথে فَاعِــل আসা আবশ্যক:
 فِعْلُ لَازِم (অকর্মক ক্রিয়া) : যাহা শুধু ফেল+ফায়েল দ্বারাই অর্থ প্রকাশ করতে পারে মাফউল এর মুখাপেক্ষী হয়না এবং যাহাمتعدي এর বিপরীত।
যেমন- قَعَدَ خَالِدٌ، قَامَ زَيْدٌ
অর্থ- খালেদ বসেছে, যায়েদ দাঁড়িয়েছে।
 সকল কাজفعل , কাজটি যিনি করেন فاعل এবং কাজটি যার উপর পতিত হয় তাকে مفعول বলে।
 বাক্যে সাধারণত প্রথমেفعل , তার পর فاعل এবং সর্বশেষمفعول বসে।
যেমন: نَصَرَ زَيْدٌ خَالِدًا
অর্থ- যায়েদ খালেদকে সাহায্য করেছে।
১২)فعل متعدي এর সাথে فَاعِــلْ + مَــفْــعُــولِ بِــهِ আসা আবশ্যক:
 فعل متعدي : যাহা শুধু ফেল ফায়েল দ্বারা অর্থ প্রকাশ করতে পারেনা, বরং মাফউল এর মুখাপেক্ষী হয়।
 যার অর্থ বুঝা কর্তা ছাড়া আরও কোন সংশ্লিষ্ট বস্তুর উপর নির্ভর করে।
যেমন: نَصَرَ زَيْدٌ خَالِدًا
অর্থ- যায়েদ খালেদকে সাহায্য করেছে।
فِعْلُ + فَاعِلُ + مَفْعُوْلُ به = جُمْلَةٌ فِعْلِيَّةٌ
যেমন: مَسَحَ خَالِدٌ الْوَجْهَ- نَصَرَ عُمَرُ عَلِيًّا- قرأ زيد كتابا
অর্থ- খালেদ চেহারা মাসেহ করলো,
ওমর আলীকে সাহায্য করেছে, যায়েদ বই পড়লো ।
১৩)فِـعْــلِ مَـجْــهُــوْل এর সাথে نَائِــبُ فَاعِــلআসা আবশ্যক:
 কর্তা উল্লেখ থাকলে কর্তৃবাচ্য (مَعْرُوف),
কর্তা উল্লেখ না থাকলে কর্মবাচ্য (مَجْهُول) ।
যেমন: نُصِرَ زَيْدٌ
 ماضي مجهول এবংمضارع مجهول -এর ক্ষেত্রে প্রথম অক্ষর পেশযুক্ত হবে। যেমন: فُعِلَ- يُفْعَلُ
 অন্যথায় معروف হবে। যেমন: فَعَلَ- يَفْعَلُ
১৪)حَــال এর পূর্বে ذُوالْـحَــالআসা আবশ্যক:
 حال হাল এমন একটি শব্দ যাহা فاعل কিংবা مفعول অথবা উভয়েরই অবস্থা বর্ণনা করে।
যেমন- جَاءزَيْدٌرَاكِبًا
অর্থ-যায়েদ আরোহী অবস্থায় ফিরেছে।
 حال সব সময় نكرة এবং ذوالحال অধিকাংশ সময় معرفة হয়ে থাকে। যেমন- جَاءَنِيْ رَجُلٌ رَاكِبًا
فِعْلُ + فَاعِلُ +ذُوْالْحَالْ+حَالْ= جُمْلَةٌ فِعْلِيَّةٌ
যেমন- وَجَدْتُ الْاُسْتَاذَ جَالِسًا- جَاءَ خَالِدٌ رَاكِبًا
অর্থ- খালেদ আনন্দিত অবস্থায় এসেছে, শিক্ষককে বসা অবস্থায় পেয়েছি, খালেদ আরোহী অবস্থায় ফিরেছে।
১৫)تَـمِــييـز এর সাথে مُــمَـيـيَّــز আসা আবশ্যক:
 تمييز অর্থ- সন্দেহ নিরসনকারী পদ।
আর مميز অর্থ- যার সন্দেহ দূর করা হয়।
 تمييز এমন একটি نكرة যাহা (সংখ্যা, পরিমাণ, ওজন, দূরত্ব) ইত্যাদি অস্পষ্ট পরিমাণের উল্লেখের পর বর্ণনা করা হয় এবং সেই نكرة শব্দটি ঐ সন্দেহকে দূরীভূত করে। যেমন-
عِنْدِيْ عِشْرُوْنَ دِرْهَمًا- هَذَا خَاتَمٌ حَدِيْدًا
অর্থ- আমার কাছে দশ দিরহাম আছে,
ইহা একটি স্বর্ণের আংটি।
১৬)اداة إسْــتِــثْــنَــاء এর সাথে مُــسْــتَــثْــنَــي + مُــسْــتَــثْــنَـي مِـنْـهُআসা আবশ্যক:
 مُسْتَثْنَي পৃথককৃত, مُسْتَثْنَي منه যাহা থেকে পৃথক করা হয়, حروف إستثناءপৃথককারী হরফসমূহ।
 مُسْتَثْنَي مُتَّصِل ঐ মুসতাছনাকে বলা হয় যাহা الا এবং তাহার সমগোষ্ঠীর (خَلَا، عَدَا، حَاشَا، مَاخَلا، مَاعَدَا، لَيْسَ) দ্বারা সংখ্যা হতে বের করে দেয়া হয়।
যেমন- جَاءَنِيْ الْقَوْمُ اِلَّا زَيْدًاঅর্থ- যায়েদ ছাড়া গোত্রের সবাই আমার কাছে এসেছে।
 مُسْتَثْنَي مُنْقَطِع ঐ মুসতাছনাকে বলে যাহা الا এবং তাহার সমগোষ্ঠীর পরে বর্ণনা করা হয় বটে কিন্তু তাহা مُسْتَثْنَي منه এর অন্তর্ভূক্ত নয় বিধায় উহাকে مُسْتَثْنَي منهথেকে বের করা হয় না।
 যেমন- جَاءَنِيْ الْقَوْمُ اِلَّا حِمَارًا
অর্থ- গাধা ছাড়া গোত্রের সবাই আমার কাছে এসেছে।
فِعْل+ مُسْتَـثْـنَي مِنْهُ+ حَرْفُ إسْتِـثْـنَاءَ+مُسْتَـثْـنَي = جُمْلَةٌ فِعْلِيَّةٌ (جَاءَ الْقَوْمُ خَلَا زَيْدًا) جَاءَنِيْ الْقَوْمُ خَلَا زَيْدًا
অর্থ- যায়েদ ছাড়া গোত্রের সবাই আমার কাছে এসেছে।
১৭)بَــدَل এর সাথে مُــبْــدَل مِــنْــهُ আসা আবশ্যক:
 بدل অর্থ পরিবর্তন করা, আর যে শব্দ থেকে পরিবর্তন করা হয় তাকেمبدل منه বলে।
 بدل ঐتابع যে উহার পূর্ববর্তী শব্দকে যার সাথে সম্বন্ধ করা হয়েছে, তাকেও সেই বস্তুর সাথে সম্বন্ধ করা হয় এবং সেই সম্বন্ধের দ্বারা প্রকৃত পক্ষে সেই تابع টি মাকছুদ বা উদ্দেশ্য,متبوع মাকছুদ নহে।
 যেমন : جَاءزَيْدٌ خَالِدٌ অর্থ- যায়েদ এসেছে, যায়েদ।
فِعْلُ + فَاعِلُ (مُبْدَلُ مِنْهُ+ بَدَل)=جُمْلَةٌ فِعْلِيَّةٌ
(اِنْتَصَرَ الْقَائِدُ مُوْسَي- اُحِبُّ الْخَلِيْفَةَ الْمَأمُونْ)
অর্থ- সেনাসদস্য মুসাকে সাহায্য করলো,
আমি খলিফা মামুনকে ভালোবাসি।
১৮) تَاكِيْدএর সাথে مُؤكَّد আসা আবশ্যক :
 تاكيد দৃঢ়তা সৃষ্টিকারী পদ:
যে শব্দকে তাকীদ করা হয় তাকেمؤكد বলে
 এমন একটি تابعযাহা দ্বারা متبوعএর সহিত সম্বন্ধযুক্ত বস্তুর সম্পর্ক দৃঢ় করা কিংবা متبوع এর একক সংখ্যাগুলি প্রত্যেকটি متبوعএর অন্তর্ভূক্ত করার জন্য ব্যবহার করা হয়।
 تاكيدদুই প্রকার : (১) تاكيدِ لَفْظِي (২) تاكيدِ مَعْنَوِي
 تاكيد لَفْظِي প্রথম শব্দটিকে বার বার উল্লেখ করে যে تاكيد করা হয়।
 যেমন- جَاءَ زَيْدٌ زَيْدٌ অর্থ- যায়েদ এসেছে, যায়েদ।
 تاكيد مَعْنَوِيনয়টি শব্দ দ্বারা হয়ে থাকে :
نَفْسٌ، عَيْنٌ، كِلَا، كِلْتَا، كُلٌّ، اَجْمَعُ، اَكْتَعُ، اَبْتَعُ، اَبْصَعُ
১৯)عَــامِــل এর সাথে مَــعْــمُــول আসা আবশ্যক :
 عَامِل-এর পরিচয়: যেসব শব্দের কারণে إسْمُ الْمُعْرَبِ এর শেষে اِعْرَاب (তথা যবর, যের, পেশ অথবা ওয়াও, আলিফ, ইয়া) এর পরিবর্তন সাধিত হয় তাকেعَامِل বলে।
 عَامِل তিন প্রকার। যথা- رَافِعٌ، نَاصِبٌ، جَارٌّ
 যে আমেলের কারণে ইসম এর শেষে عَلَامَةُ الرَّفْعِ যুক্ত হয়, তাকে عَامِلٌ رَافِعٌ বলে।
 যেমন: قَامَ زَيْدٌ অর্থ- যায়েদ দাঁড়িয়েছে। বাক্যে قَامَ ফেলটি হলো عَامِلٌ رَافِعٌ
 مَعْمُول : আর আমেল যে শব্দের উপর আমল করে তাকে مَعْمُول বলে।
২০)فِــعْــلِ مَــدَح এর সাথে فَاعِــلِ مَدَح + مَـخْــصُــوْص بِالْـمَــدَحِআসা আবশ্যক:
 اَفْعَالِ مَدْحُ (প্রশংসাজ্ঞাপক ক্রিয়া) ২টি: نِعْمَ – حَبَّذَا
 যার প্রশংসা করা হয় তাকে فَاعِلِ مَدَح এবং যে শব্দ দ্বারা প্রশংসা করা হয় তাকে مَخْصُوصْ بِالْمَدَح বলে। এগুলো فاعل ও مَخْصُوص بِالْمَدَحকে পেশ দেয়।
 যেমন: نِعْمَ الرَّجُلُ زَيْدٌ
অর্থ- যায়েদ একজন চমৎকার লোক।
২১)فِــعْــلِ ذَم এর সাথে فَاعِــلِ ذَم + مَـخْــصُــوْص بِالذَم আসা আবশ্যক:
 اَفْعَالِ ذم (নিন্দাজ্ঞাপক ক্রিয়া) ২টি: بِئْسَ، سَاءَ
 যার নিন্দা করা হয় তাকে فَاعِلِ ذَم এবং যে শব্দ দ্বারা নিন্দা করা হয় তাকে مَخْصُوص بِالذَّم বলে।
 এগুলো فَاعِل ও مَخْصُوص بِالذَّمকে পেশ দেয়। যেমন: بئس الرَّجُلُ زَيْدٌঅর্থ- যায়েদ খারাপ লোক।
২২)عَــدَد এর সাথে مَــعْــدُود আসা আবশ্যক:
 اسماء العدد ঐ ইসম যাহা বস্তুসমূহের একক সংখ্যাগুলির পরিমাণ বুঝানোর জন্য গঠন করা হয়েছে।
 সংখ্যার মূল ১২টি শব্দ।
এক হইতে দশ পর্যন্ত এবং مائةও الفশব্দদ্বয়।
 আরবী সংখ্যাবাচক সকল বিশেষ্যকে أسْمَاءُ الْعَدَد বলে।
 আরবী প্রতিটি সংখ্যার عَدَدএবং مَعْدُودকে নির্ধারিত কিছু নিয়ম অনুসরন করতে হয়।
২৩) ظَــرْفٌএর সাথে فَــاعِــلْ ظَـرْف আসা আবশ্যক:
 مَفْعُوْلُ فِيْهِ ঐ স্থান বা কালের নাম যার মধ্যে কর্তার যে কর্মটি ঘটিয়া থাকে তাকেمفعول فيه বলে এবং ইহাকেظرف (পাত্র)ও বলা হয়।
যরফ ظرف দুই ভাগে বিভক্ত : ظَرْفِ زَمَان، ظَرْفِ مَكَان
 ظرف زَمَان وَمَكَان আবার দুই ভাগে বিভক্ত :مُبْهَم، مَحْدُود (অসীম এবং সীমিত)
 ظَرْفِ مَبْنِيَّة (জুরুফে মাবনিয়্যাহ) :
জুরুফে মাবনিয়্যাহ কয়েক ভাগে বিভক্ত।
 প্রথম প্রকার مُضَافُ اِلَيْهِকে বিলুপ্ত করে,
উহাকে اِضَافَتথেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়।
 ظَرْفِ مَكَان : فَوْقُ، قُدَّامُ، تَحْتُ، حَيْثُ
 ظَرْفِ زَمَان: اِذْ، اَيَّانَ، قَطُّ، اِذَا، اَمْسِ، عَوْضُ، مَتَي، مُذْ، قَبْلُ، كَيْفَ، مُنْذُ، بَعْدُ
 فِعْلُ + فَاعِلُ + مَفْعُوْلُ فيه = جُمْلَةٌ فِعْلِيَّةٌ (صَامَ عُمَرُ شَهْرًا، صَلَّي عَلِيٌّ لَيْلًا، سافر خالد يوم الجمعة)
 فِعْلُ + فَاعِلُ + (مُضَافْ+ مُضَافُ اِلَيْهِ) مَفْعُوْلُ فِيْهِ = جُمْلَةٌ فِعْلِيَّةٌ
(مَاتَ اَحْمَدُ يَوْمَ الْخَمِيْسِ، اَنْزَلَ اللهُ الْقُرْانَ لَيْلَةَ الْقَدْرِ، صُمْتُ شَهْرًا، قُمْتُ لَيْلًا)
অর্থ- আহমাদ বৃহস্পতিবার মারা গেছে, আল্লাহ তায়ালা কদরের রাতে কুরআন নাযিল করেছেন,
আমি মাসব্যাপী রোযা রেখেছি, আমি রাতে দাঁড়িয়ে নামায পড়েছি।
২৪) مُـشَـبَّـهْ بِالْــفِــعْــلِএর সাথে اِسْمٌ এবং خَـبــرٌআসা আবশ্যক :
ঽ حُرُوْفُ مُشَبَّه بِالْفِعْلِ ৬টি :
যেমন- إنَّ، أنَّ، كَانَّ، لَكِنَّ، لَيْتَ، لَعَلَّ
এ হরফগুলি মোবতাদা ও খবরের পূর্বে এসে মুবতাদাকে নছব এবং খবরকে রফা‘ প্রদান করে। এদের মুবতাদাকে إسْمُ إنَّ এবং খবরকে خَبْرُ إنَّবলা হয়।
حَرْفِ مُشَبَّهْ بِالْفِعْلِ+ اسْمِ اِنَّ+ خَبَرِ إِنَّ= جُمْلَةٌ إسْمِيَّةٌ
যেমন- إنَّ زَيْدًا قَائِمٌ- لَعَلَّ خَالِدًا غَالِب- لكن اللهَ عَلِيْم
অর্থ- নিশ্চয় যায়েদ দাঁড়ানো, নিশ্চয় খালেদ অনুপস্থিত, নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা সর্বজ্ঞানী
২৫) شَــرْطٌএর সাথে جَــزَاءএবং جَــوَابُ الــشَّــرْطِ আবশ্যক :
 حُرُوْفُ الـــشَّـــرْطِ(শর্তবোধক হরফ) ৩টি : إنْ، لَوْ، أمَّا শর্তের পরের প্রতিদানকে جَــزَاءْ বলে।
 حُرُوْفُ الـــشَّـــرْطِ শর্তের হরফ তিনটি হরফ বাক্যের প্রারম্ভে আসে।
 প্রত্যেকটি দুইটি বাক্যের উপর দাখেল হয়, إسْمِيَّةٌহউক অথবা فِعْلِيَّةٌ অথবা ভিন্ন ভিন্ন হউক।
 إن ভবিষ্যতকালের জন্য আসে, যদিও مَاضِي এর পূর্বে প্রবেশ করে।
 অর্থাৎ, তখন উহাকেإسْـتِـفْهَامْ এর অর্থে পরিবর্তন করা হয়।
 যেমন- إنْ زُرْتَـنِي اُكْرِمْكَ অর্থ- যদি আমার সাথে সাক্ষাৎ করো, তবে আমি তোমাকে সম্মান করবো।
 اِنْ تُكْرِمْنِيْ اُكْرِمْكَ- اِنْ تَذْهَبْ اَذْهَبْ- مَنْ يَّعْمَلِ الْخَيْرَ يَدْخُلِ الْجَنَّةَ= جُمْلَةٌ فِعْلِيَّةٌ شَرْطِيَّةٌ /
 حَرْفِ شَرطْ+ فِعْلُ+ فَاعِلُ+ مَفْعُوْلُ بِهِ = جُمْلَةٌ فِعْلِيَّةٌ شَرْطٌ (مَنْ يَّعْمَلِ الْخَيْرَ)
 فِعْلُ + فَاعِلُ + مَفْعُوْلُ بِهِ = جُمْلَةٌ فِعْلِيَّةٌ جَزَاءُ (يَدْخُلُ الْجَنَّةَ)
২৬)أفْعَالُ مُقَارَبَة এর সাথে اِسْمٌ এবং خَــبــرٌআসা আবশ্যক:
 أفْعَالُ مُقَارَبَة (নৈকট্যজ্ঞাপক ক্রিয়া) : ঐ ফে‘ল যা নিজের ফায়েলকে খবরের নিকটবর্তী হওয়া বুঝায়।
عَسَي، حَرَي، اِخْلَوْلَقَ، كَادَ، كَرُب، اَوْشَكَ
২৭) فِــعْــلِ نَاقِــصএর সাথে اِسْمٌ এবং خَبَـرٌআসা আবশ্যক:
 إسمُ كَانَ وَأخَوَاتِهَا (كَانَ ও তার সমগোষ্ঠীয় শব্দসমূহেরإسم ) : এসব فعل কে أفْعَالُ نَاقِصَةُ বলে।
 এ সকল فعل মুবতাদা ও খবর এর পূর্বে এসে مبتداء কে পেশ দেয় এবং উহাকে إسم كانবলা হয়, আর খবরকে নছব দেয়, উহাকে خبر كان বলা হয়। كان আসার পরে إسم كان মুছনাদ ইলাহি হয়।
 যেমন: كانَ زيدٌ قائمًا اَفْعَالِ نَاقِصَةُ ১৩টি :
كَانَ، صَارَ، اَصْبَحْ، اَمْسَي، ظَلَّ، بَاتَ، مَادَامَ، اَضْحَي، لَيْسَ، مَازَالَ، مَابَرِحَ، مَافَتَي، مَااَنْفَكَ
فِعْلُ نَاقِصْ+إسْمُ اَصْبَحَ+خَبَرِاَصْبَحَ =جُمْلَةٌ فِعْلِيَّةٌ- (اَصْبَحَ سَعِيْدٌ غَنِيًّا- كَانَ اللهُ عَلِيْمًا- صار زيد غنيا)
অর্থ- সাঈদ ধনী হয়েছে, আল্লাহ তায়ালা জ্ঞানী,
যায়েদ ধনী হয়েছে।
২৮) فِــعْــلِ قُــلُــوبএর সাথে একাধিক مَـفْـعُـول بهআসা আবশ্যক :
 যেই সমস্ত فعلঅন্তরের সাথে সম্পর্ক রাখে অথবা অন্তর থেকে ফায়দা দেয়
 اَفْعَالِ قُـلُوب ৭টি:
حَسِبْتُ– عَلِمْتُ– وَجَدْتُ– خِلْتُ– رَايْتُ– ظَنَنْتُ– زَعَمْتُ
 এগুলো একাধিক مَفْعُول কে যবর দেয়।
فِعْلُ قُلُوب+فَاعِل+ مَفْعُول+مَفْعُول= جُمْلَةٌ فِعْلِيَّةٌ
যেমন : عَلِمْتُ زَيْدًا قَائِمًا
অর্থ- আমি জানলাম যে, যায়েদ দাঁড়ানো।
৩০) إسْـمُ إشَــارَةএর সাথে مُــشَــارٌ إِلَــيْــهِ আসা আবশ্যক:
 إسْم اِشَارَة ইঙ্গিতবাচক শব্দ : আর যার প্রতি ইঙ্গিত প্রদান করা হয় তাকে مُشَارٌ اِلَيْهِ বলে
 إسْم اِشَارَة ঐ ইসম যাহা দ্বারা কোন বস্তুকে নির্দেশ করা হয় এবং এই ইঙ্গিতের পাঁচটি শব্দ ছয়টি অর্থের জন্য ব্যবহার হয়।إسْم اِشَارَة এর পরের শব্দ মারেফা হলেই কেবল مُشَارٌ اِلَيْهِ হবে, অন্যথায় খবর হবে।
 যেমন: هَذَا قَلَمٌ، هَذَا الْكِتَابُ الْجَمِيْلُ অর্থ- ইহা একটি কলম, ইহা একটি সুন্দর বই।
ذَا، ذَانَ، ذَيْن، اُوْلَاءِ، اُوْلِيْ، تَا، تِيْ، تَهْ، ذَهْ، ذَهِيْ، تَهِيْ، تَانِ، تَيْنِ، اُولَاءِ، اُوْلِي.
 কোন কোন সময় اسماء اشارةএর শুরুতে هاপ্রবেশ করে। যেমন-هَذَا ইহা একটি (পু:), هَذَانِ ইহা দুইটি (পু:), هَذِهِ ইহা একটি (স্ত্রী.)।
২৯) لَا لِـنَــفْي الجِــنْــسএর সাথে اِسْمٌ এবং خَــبْــرٌআসা আবশ্যক:
ঽ لَا لِنَــفِيِ الـجِــنْـسِ (জাতিবাচক নাসূচক): ইসিমকে যবর প্রদানকারী হরফ ১টি: لا যেমন: لَا رَجُلَ قَائِمٌ
 حَرْفِ نَفِيْ+ إسْمُ لَا+ (حَرْفُ جَارْ+ مَجْرُورْ، مُتَعَلَّقْ مَعْ شِبْهِ فِعْلٍ مُسْتَقَرٍّ)+خَبْرُلَا= لَا رَجُلَ فِيْ الدَّارِ
حَرْفِ لَائِي نَفِيْ لِلْجِنْسِ+ اِسْمِ لَا+ خَبَرِ لَا = جُمْلَةٌ إسْمِيَّةٌ
(لَا طَالِبَ حَاضِرٌ- لَاتَاجِرَ غَائِبٌ)
অর্থ- ঘরে কোন পুরুষ নেই, কোন ছাত্র উপস্থিত নেই, কোন ব্যবসায়ী অনুপস্থিত নেই।
৩১)مَا এবং لَا এর সাথেاِسْمٌ এবং خَــبْــرٌ আসা আবশ্যক:
 حرفِ مُـشَــبَّـــهَـتَـــيْــنِ بِــلَيْسَ (لَيْسَ-এর সাথে সম্পর্কিত ما، لا):
ইসিমকে পেশ প্রদানকারী হরফ ২টি: ما – لا
حَرْفِ مُشَبَّهْ بِلَيْسَ+ اِسْمِ لَا+ خَبَرِ لَا= جُمْلَةٌ إسْمِيَّةٌ (لَارَجُلٌ تَاجِرًا- مَا نَعِيْمٌ تِلْمِيْذًا
অর্থ- কোন ব্যবসায়ী পুরুষ নেই, নাঈম ছাত্র নয়।
৩২) مَــوْصُــوْل এর সাথে صِــلَــة আসা আবশ্যক:
 اِسْمُ مَوْصُول (সম্বন্ধবাচক ইসম): এমন একটি ইসম যা তার পরে ব্যবহৃত صله ব্যতীত বাক্যের পূর্ণ অংশ হতে পারে না। আরصله এমন একটি জুমলায়ে খবরিয়া হয়, যাহার মধ্যে موصولএর প্রতি প্রত্যাবর্তনকারী একটি জমীর হওয়া আবশ্যক।
 اِسْمُ مَوْصُولএমন একটি ইসম যাহা তাহার পরে ব্যবহৃত صِلَهব্যতীত বাক্যের পূর্ণ অংশ হতে পারে না।
যেমন- إقْرَأ بإسْمِ رَبِّكَ الَّذِيْ خَلَقَ অর্থ- পড়ো তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন।
 বাংলা বাক্যে ইসমে মাওসুলের ব্যবহার- যে, যারা, যিনি, যাকে, যাদেরকে, যেটা, যেগুলো ইত্যাদি।
اَلَّذِيْ، اَلَّذَانِ، اَلَّذَيْنِ، اَلَّتِيْ، اَللَّتَانِ، اَللَّتَيْنِ، اَلَّذِيْنَ، اَلْاُوْلٰی، اَللَّاءِ، اَللَّائِیْ، اَللَّاتِيْ، اَللَّوَاتِيْ، مَا، مَنْ، اَيٌّ، اَيَّةٌ.
 مَا، مَنْ، اَيٌّ، اَيَّةٌ، ذُوْ একবচন স্ত্রীলিঙ্গের জন্য ব্যবহৃত হয়।
৩৩) عَــدْلএর সাথে مَــعْــدُول আসা আবশ্যক:
 عدل (পরিবর্তন): যে শব্দ নিজের রূপ বা আকৃতি থেকে পরিবর্তন হয়ে অন্য রূপ ধারণ করে।
 যেমন: عامر، زافر থেকে عمر، زفر
৩৪) حَـرْفِ عَــطْــفএর সাথে مَــعْــطُــوف + مَــعْــطُــوفُ عَــلَــيْــهِ আসা আবশ্যক:
 حُرُوْفُ عَطْف (দুই শব্দের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপনকারী হরফ) দশটি।
যেমন- جَاءزَيْدٌ وَعَمْرٌ
واو، فاء، ثم، حتي، او، اما، ام، بل، لكن، لا
 معطوف টি معطوف عليهএর হুকুমের অন্তর্ভূক্ত হয়।
 معطوف যদি কোন বস্তুর صفت বা خبرঅথবা صله কিংবা حال হয়. তাহলেمعطوف عليه ও তা হবে।
 عطف بالحروف (সংযোগকারী অব্যয়): এমন একটি تابعযার প্রতি ঐ বস্তুর সাথে সম্পর্ক করা হয়েছে- যার সম্পর্ক করা করা হয়েছে উহার متبوع এর সাথে। ইহাকে عَطْفُ النُّسُقِও বলা হয়।
فِعْلُ+مَعْطُوف عَلَيْهِ (مُضَاف+ مُضَافُ اِلَيْهِ)+مَعْطُوفْ(مُضَافْ+ مُضَافُ اِلَيْهِ)= جُمْلَةٌ فِعْلِيَّةٌ
رَوَي عَبْدُ اللهِ بْنُ مَسْعُودْযেমন-
অর্থ- আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ থেকে বর্ণিত।
৩৫) تَــابِــعএর সাথে مَــتْــبُــوعআসা আবশ্যক:
 تابع প্রত্যেক ঐ দ্বিতীয় শব্দকে বলা হয় যে শব্দের اعراب একই কারণে পূর্ববর্তী শব্দের اعراب এর মত হয়। অর্থাৎ উভয়ের মধ্যে একই اعراب হয় এবং উভয়ের মধ্যে ঐ اعرابহওয়ার কারণও অভিন্ন।
 تابع পাঁচ প্রকার : (১)اَلنَّعَتُ، (২) اَلْعَطْفُ بِالْحُرُوْفِ،
(৩) اَلتَّاكِيْدُ، (৪) اَلْبَدْلُ، (৫) عَطْفُ الْبَيَانِ
৩৬) حَـرْفُ نِــدَاءএর সাথে مُــنَــادَي + جَــوَابُ نِــدَاء আসা আবশ্যক:
 حُرُوْفِ النِّدَاءِ মুনাদাকে যবর প্রদানকারী হরফ ৫টি:يَــا، أيَـــا، هَيَا، أيْ، هَـمْــــزَةُ الـْمَـــفْـــتُـــوْحَــةِ
 منادي অর্থ আহুত : منادي এমন একটি ইসম যাহাকে কোন حرف نداء দ্বারা ডাকা হয়।
 সেই حرف نداء শব্দের মধ্যে উল্লেখ থাকতে হবে। যেমন: يا زَيْدُ অর্থ- হে যায়েদ।

এক নজরে ফেলের সংজ্ঞা এবং প্রকারসমূহ

 এক নজরে ফেলের সংজ্ঞা এবং প্রকারসমূহ



-----------------------------------------------------------
এক বাক্যে ফেলের ১০০০ এক হাজার প্রশ্নোত্তর থেকে এখানে মাত্র ১০০ উল্লেখ করা হয়েছে। বিস্তারিত পাবেন এক বাক্যে নাহু সরফের প্রশ্নোত্তর বইয়ের মধ্যে।
----------------------------------------------------------------
অর্থ, সংজ্ঞা অথবা উদাহরণ নয়- আলোচ্য অংশে ফেলের সব ধরণের প্রকারসমূহ উল্লেখ করা হয়েছে।
১. مَفْعُول তথা কর্ম হিসেবে فِعْل দুই প্রকার :
(১) لَازِم, (২)مُـتَـعَـدِّي
২. فاعل তথা কর্তা হিসেবে فِعْلُ দুই প্রকার :
(১) مَـعْـرُوف, (২)مَـجْـهُـول
৩. কালের দিক থেকে فِعْلُ তিন প্রকার :
(১) مَاضِى, (২) حال, (৩) مُسْـتَـقْبِـل
৪. রূপান্তরের দিক থেকে فِعْلُ দুই প্রকার :
(১) مُتَصَرِّفَةُ, (২) غَيْرُ مُتَصَرِّفة (جَامِدَةٌ)
৫. গঠনের দিক থেকে فِعْلُ তিন প্রকার :
(১) مَاضِى, (২) مُضَارِع, (৩) امر
৬. ক্রিয়ার মূল অক্ষর হিসেবে فِعْلُ দুই প্রকার :
(১) مُجَرَّدٌ, (২) مَزِيْدٌ فِيْهِ
৭. সম্পন্ন এবং অসম্পন্নের বিবেচনায় فِعْلُ দুই প্রকার : (১) فِعْلُ تَام, (২) فِعْلُ نَاقِص
ফেলে মাযি فِعْلُ مَاضِي ছয় প্রকার
------------------------------------------------
مَاضِى مُطْـلَـق (সাধারণ অতীত) :
যেমন :قَرَأتُ (আমি পড়লাম)।
مَاضِى قَـرِيـب (নিকটবর্তী অতীত) :
যেমন :قَدْ قَرَأتُ (আমি এমাত্র পড়লাম)।
مَاضِى بَـعِـيـد (দূরবর্তী অতীত) :
যেমন :كُنْتُ قَرَأتُ (আমি অনেক আগে পড়লাম)।
مَاضِى إحْـتِـمَالِى (সম্ভাবনাসূচক অতীত) :
যেমন :لَعَلَّمَا قَرَأتُ (সম্ভবতঃ আমি পড়লাম)।
مَاضِى تَـمَنَّـى (আকাংখাসূচক অতীত) :
যেমন :لَيْـتَمَا قَرَأتُ (যদি আমি পড়তাম)।
مَاضِى إسْـتِـمْـرَارِى (চলমান অতীত) :
যেমন : كَا نَ يَـقْـرَأُ (সে পড়ছে)।
ফেলে মুযারে فِعْلُ مُضَارِعকে পাঁচভাগে ভাগ করা যায়
فِعْل مُضَارِع مُثْبَت (হ্যাঁ-সূচক বর্তমান ও ভবিষ্যতকালিন ক্রিয়া) : যেমন :يَـفْعَلُ
فِعْل مُضَارِع مَنْفِي (না-সূচক বর্তমান ও ভবিষ্যতকালিন ক্রিয়া) : যেমন :لَا يَـفْعَلُ
فِعْل مُضَارِع مَنْفِي بَلَمِ جِحَد (لَمْ যোগে না-বাচক অস্বীকারজ্ঞাপক বর্তমান ও ভবিষ্যতকালিন ক্রিয়া) : যেমন :لَـمْ يَـفْعَلْ
فِعْل مُضَارِع مَنْفِي بِلَنِ مُؤكَّد (لَنْ যোগে না-বাচক দৃঢ়তাসূচক বর্তমান ও ভবিষ্যতকালিন ক্রিয়া) :
যেমন :لَـنْ يَـفْعَلَ
فِعْل مُضَارِع مُؤكَّد بَلاَمِ وَ نُوْنِ التَّاكِيد (দৃঢ়তাবাচক لএবংن যোগে নিশ্চয়তাসূচক ভবিষ্যতকালিন ক্রিয়া) : যেমন :لَيَـفْعَلَنَّ
৮. اَفْعَال قُـلُوب (সাতটি) : একাধিক مفعول কে যবর দেয়। যেমন : عَلِمْتُ زَيْدًا قَائِمًا
حَسِبْتُ، عَلِمْتُ، وَجَدْتُ، خِلْتُ، رَايْتُ، ظَنَنْتُ، زَعَمْتُ.
৯. اَفْعَال مَدْحُ وَ ذَم (৪টি) :فاعل ওمخصوص فاعل কে পেশ দেয়। যেমন :نِعْمَ الرَّجُلُ زَيْدٌ
نِعْمَ، بِئْسَ، سَاءَ، حَبَّذَا.
১০. اَسْمَاء اَفْعَال (৯টি) :حَيَّهَـلْ، هَـلُّـمَّ، عَـلَـيْـكَ، رُوَيْـدَ، بَلَهَ، دُوْنَـكَ، هَـيْـهَـاتَ، شَـتَّـانَ، سَرْعَـانَ.
১১. اَفْعَال مُـقَارَبَة (৬টি) : ইসিমকে পেশ এবং খবরকে যবর দেয়। যেমন : عَسَي زَيْدٌ اَنْ يَفُوْزَ
عَسَي، كَادَ، كَرُبَ، اَوْشَكَ، اِخْلَوْلَقَ، حَرٰي.
১২. اَفْعَالُ نَاقِصَة (১৩টি) :جُمْلَة اِسْمِيَّة এর প্রথমে আসিয়া ইসিমকে পেশ এবং খবরকে যবর দেয়।
যেমন- كَانَ زَيْدٌ قَائِمًا
كَانَ، صَارَ، اَصْبَحْ، اَمْسَي، ظَلَّ، بَاتَ، مَادَامَ، اَضْحَي، لَيْسَ، مَازَالَ، مَابَرِحَ، مَافَتَي، مَااَنْفَكَ.
১৩. نَوَاصِبُ الاِسْمِ الْـمُنْـكَر (৪টি) :
كَمْ، كَذَا، كَاَيِّنْ، اَحَدَ عَشَرَ/تِسْعَ عَشَرَ
১৪. اَفْعَال تَعَجُّب দুইটি ওজন আছে :
১) مَا اَفْعَلَهُ ২) اَفْـعَـلُ بِهِ
১৫. حُرُوْف مُشَبَّهةُ بِالْفِعْلِ (৬টি) :
إنَّ، أنَّ، كَانَّ، لَكِنَّ، لَيْتَ، لَعَلَّ
১৬. اَفْعَال تَحْوِيْلِ (৭টি) :
وَهَبَ، طَفِقَ، اِتَّخَذَ، اَخَذَ، تَـرَكَ، رَدَّ، صَبَرَ
১৭. اَفْعَال رُجْحَانَ (৭টি) :
ظَنَّ، هَبْ، حَسِبْ، زَعَمَ، عَـدَّ، حَجَا، خَالَ
১৮. اَفْعَال يَقِيْن (৭টি) :
عَلِمَ، تَعْـلِـمْ بِمَـعْـنٰي اَعْـلِـمْ، وَجَدَ، دَرَاي، اَلْـفَيَ، جَعَلَ، رَايَ
১৯. اَفْعَال رَجَاء (৩টি) :عَسَي، حَرَي، اِخْلَوْلَـقَ
২০. اَفْعَال شُرُوْع (৯টি) :
شَرَعَ، اَنْـشَأ، طَفِقَ، اَخَذَ، عَلَّقَ، صَبَّ، جَعَلَ، هَـلْـهَـلَ، قَامَ
২১. تَنَازَعُ الْفِعْلَيْنِ : যখন দুইটি فِعلْবা ক্রিয়া তাদের পরবর্তী কোন একটি প্রকাশ্য إسم কে নিয়ে দ্বন্দ্ব আরম্ভ করে। যেমন : ضَرَبْتُ وَاَكْرَمْتُ زَيدًا
প্রশ্নোত্তরে فِعْلٌ এর আলোচনা
---------------------------
১. প্রশ্ন: فِعْلٌঅর্থ কি?
উত্তর : কাজ, ক্রিয়া।
২. প্রশ্ন: فِعْلٌশব্দের বহুবচন কি?
উত্তর : اَفْعَالٌ
৩. প্রশ্ন: فِعْلٌকাকে বলে?
উত্তর : فِعْل এমন একটি শব্দ যা তার নিজের অর্থ নিজেই প্রকাশ করতে পারে এবং ঐ অর্থ তিনটি কালের যে কোন একটির সাথে মিলিত হয়।
৪. প্রশ্ন: فِعْلٌএর আরবী সংজ্ঞা দাও।
هُوَ كَلِمَةٌ تَدُلُّ عَلٰي مَعْنًي فِيْ نَفْسِهَا دَلَالَةً مُقْتَرِنَةً بِزَمَانِ ذٰلِكَ الْمَعْنٰي.
৫. প্রশ্ন: فِعْلٌএর উদাহরণ দাও।
উত্তর : كَتَبَ (সে লিখলো), يَكْتُبُ (সে লিখছে বা লিখবে) ইত্যাদি।
৬. প্রশ্ন: فِعْلٌএর ইংরেজী প্রতিশব্দ কি?
উত্তর : ঠবৎন
৭. প্রশ্ন: রূপান্তরভেদে فِعْل কতো প্রকার?
উত্তর : দুই প্রকার।
৮. প্রশ্ন: রূপান্তরভেদে فِعْل এর প্রকারসমূহ লেখো।
১. اَلْاَفْعَالُ الْمُتَصَرِّفَةُ ২. اَلْاَفْعَالُ غَيْرُ الْمُتَصَرِّفَةِ⁄اَلْاَفْعَالُ الْجَامِدَةُ।
৯. প্রশ্ন: اَلْاَفْعَالُ الْمُتَصَرِّفَةُ অর্থ কি?
উত্তর : রূপান্তরশীল ক্রিয়াসমূহ।
১০. প্রশ্ন: اَلْاَفْعَالُ الْمُتَصَرِّفَةُ কাকে বলে?
উত্তর : যে সকল فعل তথা ক্রিয়া مَاضِي، مَضَارِع، اَمْر ও نَهِي ইত্যাদিতে রূপান্তরিত হয়।
১১. প্রশ্ন: اَلْاَفْعَالُ الْمُتَصَرِّفَةُ এর উদাহরণ দাও।
উত্তর : যেমন : نَصَرَ, يَنْصُرُ, اُنْصُرْ ও لَا تَنْصُرْ ইত্যাদি।
১২. প্রশ্ন: اَلْاَفْعَالُ الْمُتَصَرِّفَةُ এর অপর নাম কি?
উত্তর : اَلْاَفْعَالُ الْجَامِدَةُ
১৩. প্রশ্ন: اَلْاَفْعَالُ الْجَامِدَةُ অর্থ কি?
উত্তর : রূপান্তরহীন ক্রিয়াসমূহ।
১৪. প্রশ্ন: اَلْاَفْعَالُ الْجَامِدَةُ কাকে বলে?
উত্তর : যে সকল فعل তথা ক্রিয়ার مَاضِي বা اَمْر-এর রূপান্তর ব্যতীত অন্য কোন রূপান্তর হয় না, সেগেুলোকে اَلْاَفْعَالُ الْجَامِدَة বাاَلْاَفْعَالُ غَيْرُ الْمُتَصَرِّفَةِ বলে।
১৫. প্রশ্ন: اَلْاَفْعَالُ الْجَامِدَةُ এর উদাহরণ দাও।
উত্তর : كَرُبَ، عَسَي، تَعَال
১৬. প্রশ্ন: গঠনগতভাবে فِعْل কতো প্রকার?
উত্তর : তিন প্রকার।
১৭. প্রশ্ন: গঠনগতভাবে فِعْل এর প্রকারসমূহ লেখো।
উত্তর : ১. اَلْفِعْلُ الْمَاضِي ২. اَلْفِعْلُ الْمُضَارِع ৩. فِعْلُ الْاَمْرِ
১৮. প্রশ্ন: اَلْفِعْلُ الْمَاضِي অর্থ কি?
উত্তর : অতীতকালীন ক্রিয়া।
১৯. প্রশ্ন: اَلْفِعْلُ الْمَاضِي কাকে বলে?
উত্তর : যে فِعْلٌ দ্বারা অতীতকালে কোন কাজ করা বা হওয়া বোঝায়।
২০. প্রশ্ন: اَلْفِعْلُ الْمَاضِي এর আরবী সংজ্ঞা দাও।
উত্তর : هُوَ مَا دَلَّ عَلٰي حَالَةٍ اَوْ حَدَثٍ فِيْ زَمَانٍ قَبْلَ الَّذِيْ أنْتَ فِيْهِ.
২১. প্রশ্ন: বাংলা বাক্যেفِعْل مَاضِى চেনার উপায় কি?
উত্তর : বাংলা বাক্যেفِعْل مَاضِى এর নিদর্শন- ল, লে, লাম, লেন (সে করিল, তুমি করিলে, আমি করিলাম)।
২২. প্রশ্ন: اَلْفِعْلُ الْمَاضِي এর উদাহরণ দাও।
উত্তর : যেমন- كَتَبْتُ (আমি লিখেছি), قَرَأتَ (তুমি পড়েছো)।
২৩. প্রশ্ন: اَلْفِعْلُ الْمُضَارِع অর্থ কি?
উত্তর : বর্তমান ও ভবিষ্যৎকালিন ক্রিয়া।
২৪. প্রশ্ন: اَلْفِعْلُ الْمُضَارِع কাকে বলে?
উত্তর : যে فِعْل বর্তমান বা ভবিষ্যৎকালে কোন কাজ করা বোঝায়।
২৫. প্রশ্ন: اَلْفِعْلُ الْمُضَارِع এর মধ্যে কয়টি কাল থাকবে?
উত্তর : দুইট।
২৬. প্রশ্ন: اَلْفِعْلُ الْمُضَارِع এর দুইটি কাল কি কি?
উত্তর :مُسْـتَـقْـبِل ও حَال
২৭. প্রশ্ন: বাংলা বাক্যে اَلْفِعْلُ الْمُضَارِع চেনার উপায় কি?
উত্তর : বাংলা বাক্যেفِعْل حَال এর নিদর্শন- ছি, ছ, ছে, ছেন (আমি করছি, তুমি করছ, সে করছে)।
বাংলা বাক্যে فِعْل مُسْـتَـقْبِـل এর নিদর্শন- বি, ব, বে, বেন (সে করিবে, আপনি করিবেন, আমি করিব)।
২৮. প্রশ্ন: اَلْفِعْلُ الْمُضَارِع এর উদাহরণ দাও।
উত্তর : যেমন- تَجْلِسُ (তুমি বসেছো বা বসবে),
اَنْصُرُ (আমি সাহায্য করছি বা করবো)।
২৯. প্রশ্ন: فِعْلُ الْاَمْر অর্থ কি?
উত্তর : আদেশসূচক ক্রিয়া।
৩০. প্রশ্ন: فِعْلُ الْاَمْر কাকে বলে?
উত্তর : যে فِعْلٌ দ্বারা কোন কাজ করার আদেশ, নির্দেশ কিংবা অনুরোধ করা বুঝায়।
৩১. প্রশ্ন: فِعْلُ الْاَمْر এর উদাহরণ দাও।
উত্তর : যেমন- اِجْلِسْ (তুমি বস), اُنْصُرْ (তুমি সাহায্য করো)।
৩২. প্রশ্ন: فِعْل النَّهِي অর্থ কি?
উত্তর : নিষেধসূচক ক্রিয়া।
৩৩. প্রশ্ন: فِعْل النَّهِي কাকে বলে?
উত্তর : যে فِعْل দ্বারা কোন কাজ না করার আদেশ, নির্দেশ কিংবা অনুরোধ করা হয়।
৩৪. প্রশ্ন: فِعْل النَّهِي কার অংশ?
উত্তর : এটি মূলত فِعْل الْمُصَارِع -এর একটি বিশেষ রূপ।
৩৫. প্রশ্ন: فِعْل النَّهِي এর উদাহরণ দাও।
উত্তর : لَا تَجْلِسْ (তুমি বসো না), لاَ تَنْصُرْ (তুমি সাহায্য কর না)।
৩৬. প্রশ্ন: فاعل তথা কর্তার বিবেচনায় فِعْل কতো প্রকার?
উত্তর : দুই প্রকার।
৩৭. প্রশ্ন: فاعل তথা কর্তার বিবেচনায় فِعْل এর প্রকারসমূহ লেখো।
উত্তর : ১. اَلْفِعْلُ الْمَعْرُوف ২. اَلْفِعْلُ الْمَجْهُول
৩৮. প্রশ্ন: اَلْفِعْلُ الْمَعْرُوف অর্থ কি?
উত্তর : কর্তৃবাচক ক্রিয়া।
৩৯. প্রশ্ন: اَلْفِعْلُ الْمَعْرُوف কাকে বলে?
উত্তর : যে ক্রিয়ার فاعل উল্লেখ থাকে।
৪০. প্রশ্ন: اَلْفِعْلُ الْمَعْرُوف এর উদাহরণ দাও।
উত্তর : যেমন- أكَلَ سَاجِدٌ (সাজেদ খেয়েছে)। অর্থাৎ, সাজেদ কর্তৃক খাওয়ার কাজ সম্পাদিত হয়েছে, এটি বাক্যে উল্লেখ আছে।
৪১. প্রশ্ন: اَلْفِعْلُ الْمَجْهُولُ অর্থ কি?
উত্তর : কর্মবাচক ক্রিয়া।
৪২. প্রশ্ন: اَلْفِعْلُ الْمَجْهُولُ কাকে বলে?
উত্তর : যে ক্রিয়ার فاعل উল্লেখ থাকে না।
৪৩. প্রশ্ন: اَلْفِعْلُ الْمَجْهُولُ এর উদাহরণ দাও।
উত্তর : كُتِبَ (লেখা হয়েছে), এখানে লেখকের নাম উল্লেখ নেই।
৪৪. প্রশ্ন: কোন ফেলকে اَلْفِعْلُ الْمَجْهُول-এ রূপান্তর করা যায়?
উত্তর : শুধু اَلْفِعْلُ الْمُتَعَدِّي কে اَلْفِعْلُ الْمَجْهُول বানানো যায়।
৪৫. প্রশ্ন: مَفْعُول তথা কর্ম হিসেবে فِعْل কতো প্রকার?
উত্তর : দুই প্রকার।
৪৬. প্রশ্ন: مَفْعُول হিসেবে فِعْل এর প্রকারসমূহ লেখো।
উত্তর : ১. اَلْفِعْلُ اللَّازِمُ ২. اَلْفِعْلُ الْمُتَعَدِّي
৪৭. প্রশ্ন: اَلْفِعْلُ اللَّازِمُ অর্থ কি?
উত্তর : অকর্মক ক্রিয়া।
৪৮. প্রশ্ন: اَلْفِعْلُ اللَّازِمُ কাকে বলে?
উত্তর : অর্থ নির্দেশ করার জন্য যে فِعْل-এর مَفْعُولٌ به প্রয়োজন নেই।
৪৯. প্রশ্ন: اَلْفِعْلُ اللَّازِمُ এর উদাহরণ দাও।
উত্তর : ذَهَبَ بَكْرٌ (বকর গিয়েছে)।
বাক্যে ذَهَبَ অর্থ বোঝানোর জন্য কোনো مَفْعُول-এর প্রয়োজন হয় না।
৫০. প্রশ্ন: اَلْفِعْلُ الْمُتَعَدِّي অর্থ কি?
উত্তর : কর্মবাচক ক্রিয়া।
৫১. প্রশ্ন: اَلْفِعْلُ الْمُتَعَدِّي কাকে বলে?
উত্তর : অর্থ নির্দেশ করার জন্য যে فِعْل-এর مَفْعُولٌ به প্রয়োজন হয়।
৫২. প্রশ্ন: اَلْفِعْلُ الْمُتَعَدِّي এর উদাহরণ দাও।
উত্তর : যেমন- نَصَرَ بَكْرٌ زَيْدًا (বকর যায়েদকে সাহায্য করেছে)। বাক্যে زيدا শব্দটি مَفْعُولٌ به।
৫৩. প্রশ্ন: কোন প্রকার ফেল اَلْفِعْلُ الْمَجْهُول তে রূপান্তর হয়?
উত্তর : একমাত্র اَلْفِعْلُ الْمُتَعَدِّي কে اَلْفِعْلُ الْمَجْهُول বানানো যায়।
৫৪. প্রশ্ন: ইতিবাচক ও নেতিবাচক বিচারে فِعْل কতো প্রকার?
উত্তর : দুই প্রকার।
৫৫. প্রশ্ন: ইতিবাচক ও নেতিবাচক বিচারে فِعْل এর প্রকার লেখো।
উত্তর : ১. اَلْفِعْلُ الْمُثْبَتُ ২. اَلْفِعْلُ الْمَنْفِيُّ
৫৬. প্রশ্ন: اَلْفِعْلُ الْمُثْبَت অর্থ কি?
উত্তর : হ্যাঁবাচক ক্রিয়া।
৫৭. প্রশ্ন: اَلْفِعْلُ الْمُثْبَت কাকে বলে?
উত্তর : যে فعْل দ্বারা কোন কাজ সংঘটিত হওয়া বা করা বোঝায়।
৫৮. প্রশ্ন: اَلْفِعْلُ الْمُثْبَت এর উদাহরণ দাও।
উত্তর : যেমন- ذَهَبَ সে গিয়েছে, يَسْمَعُ (সে শ্রবণ করছে বা করবে)।
৫৯. প্রশ্ন: اَلْفِعْلُ الْمَنْفِي অর্থ কি?
উত্তর : নাবাচক ক্রিয়া।
৬০. প্রশ্ন: اَلْفِعْلُ الْمَنْفِي কাকে বলে?
উত্তর : যে فعْل দ্বারা কোন কাজ সংঘটিত না হওয়া বা না করা বোঝায়।
৬১. প্রশ্ন: اَلْفِعْلُ الْمَنْفِي এর উদাহরণ দাও।
উত্তর : ما ذَهَبَ সে যায়নি, لا يَسْمَعُ সে শ্রবণ করছে না বা করবে না।
৬২. প্রশ্ন: ক্রিয়ার মূল অক্ষর হিসেবে فِعْل কতো প্রকার?
উত্তর : দুই প্রকার।
৬৩. প্রশ্ন: ক্রিয়ার মূল অক্ষর হিসেবে فِعْل এর প্রকারসমূহ লেখো।
উত্তর : ১. اَلْفِعْلُ الْمُجَرَّدُ ২. اَلْفِعْلُ الْمَزِيْدُ فِيْهِ
৬৪. প্রশ্ন: اَلْفِعْلُ الْمُجَرَّد অর্থ কি?
উত্তর : অতিরিক্ত অক্ষর মুক্ত।
৬৫. প্রশ্ন: اَلْفِعْلُ الْمُجَرَّد কাকে বলে?
উত্তর : যে فعْل-এর অতীতকালের وَاحِدٌ مُذَكَّرٌ غَائِبٌ-এর সীগায় কোন অতিরিক্ত অক্ষর থাকে না।
৬৬. প্রশ্ন: اَلْفِعْلُ الْمُجَرَّد এর উদাহরণ দাও।
উত্তর : যেমন- فعْل, ذَهَبَ, سَمِعَ, بَعْثَرَ ইত্যাদি।
৬৭. প্রশ্ন: اَلْفِعْلُ الْمَزِيْدُ فِيْهِ অর্থ কি?
উত্তর : অতিরিক্ত অক্ষরযুক্ত।
৬৮. প্রশ্ন: اَلْفِعْلُ الْمَزِيْدُ فِيْهِ কাকে বলে?
উত্তর : যে فعْل-এর অতীতকালের وَاحِدٌ مُذَكَّرٌ غَائِبٌ-এর সীগায় অতিরিক্ত অক্ষর থাকে।
৬৯. প্রশ্ন: اَلْفِعْلُ الْمَزِيْدُ فِيْهِ এর উদাহরণ দাও।
উত্তর : যেমন- اِجْتَنَبَ, تَسَرْبَلَ ইত্যাদি।
৭০. প্রশ্ন: সময়ের তারতম্য অনুসারে فِعْلُ مَاضِيْ কত প্রকার?
উত্তর: فِعْلُ مَاضِىْ (অতীত কাল) ৬ প্রকার।
৭১. প্রশ্ন: فِعْلُ مَاضِيْ এর প্রকারগুলো লিখো।
مَاضِيْ مُطْلَقْ، مَاضِيْ قَرِيبْ، مَاضِيْ بَعِيدْ، مَاضِيْ إحْـتِـمَالِى، مَاضِيْ تَمَنَّي، مَاضِيْ اِسْتِمْرَارِيْ-
৭২. প্রশ্ন:مَاضِىْ مُطْـلَـقْ অর্থ কি?
উত্তর: সাধারণ অতীত কাল।
৭৩. প্রশ্ন:مَاضِىْ مُطْـلَـقْ কাকে বলে?
উত্তর: যে فِعل (ক্রিয়া) দ্বারা সাধারণভাবে অতীত কালে কোন কাজ করলো বা সংঘটিত হলো বোঝায়।
৭৪. প্রশ্ন:مَاضِىْ مُطْـلَـقْ এর গঠনপ্রণালী লেখো।
উত্তর: مَاضِى مُطْـلَـق সাধারণত مَصْدَر তথা ক্রিয়ামূল থেকে গঠিত হয়। তিন অক্ষরবিশিষ্ট فِعل এর فاء কালেমায় فَتْحَة (যবর) এবং عين কালেমায় বাব অনুযায়ী ضُمَّة (পেশ), فَتْحَة (যবর) বা كَسْرَة যের) দিয়ে لام কালেমায় فَتْحَة (যবর) দিলে مَاضِى مُطْـلَـق এর وَاحِد مُذَكَّر غَائِب এর সীগাহ গঠিত হয়।
৭৫. প্রশ্ন:مَاضِىْ مُطْـلَـقْ (সাধারণ অতীত)-এর উদাহরণ দাও।
উত্তর: যেমন- قَرَأ (সে পড়লো)।
৭৬. প্রশ্ন: مَاضِى مُطْـلَـق مَـعْـرُوف -এর গর্দানগুলো লেখো।
فَعَلَ، فَعَلَا، فَعَلُوْا، فَعَلَتْ، فَعَلَتَا، فَعَلْنَ، فَعَلْتَ، فَعَلْتُمَا، فَعَلْتُمْ، فَعَلْتِ، فَعَلْتُمَا، فَعَلْتُنَّ، فَعَلْتُ، فَعَلْنَا-
৭৭. প্রশ্ন: مَاضِى مُطْـلَـق مَـجْـهُـول -এর গর্দানগুলো লেখো।
فُعِلَ، فُعِلَا، فُعِلُوْا، فُعِلَتْ، فُعِلَتَا، فُعِلْنَ، فُعِلْتَ، فُعِلْتُمَا، فُعِلْتُمْ، فُعِلْتِ، فُعِلْتُمَا، فُعِلْتُنَّ، فُعِلْتُ، فُعِلْنَا-
৭৮. প্রশ্ন: مَاضِى قَـرِيـبঅর্থ কি?
উত্তর: নিকটবর্তী অতীত কাল।
৭৯. প্রশ্ন: مَاضِى قَـرِيـب কাকে বলে?
উত্তর: যে فعل দ্বারা ক্রিয়া দ্বারা অতীত কালের নিকটতম সময়, অর্থাৎ, কিছুক্ষণ পূর্বে কোন কাজ সংঘটিত হয়েছে বোঝায়।
৮০. প্রশ্ন: مَاضِى قَـرِيـب এর গঠনপ্রণালী লেখো।
উত্তর: فعل مَاضِى مُطْـلَـق-এর সীগাহসমূহের পূর্বে قد যোগ করলে مَاضِى قَـرِيـب এর ১৪টি صيغة গঠিত হয়। قد শব্দটি সর্বদা অপরিবর্তিত থাকবে।
৮১. প্রশ্ন: مَاضِى قَـرِيـب -এর একটি উদাহরণ দাও।
উত্তর: যেমন- قد قرأ (সে এইমাত্র পড়লো),
قَدْ قَرَأتُ (আমি এইমাত্র পড়লাম)।
৮২. প্রশ্ন: مَاضِى قَـرِيـب مَـعْـرُوف -এর গর্দানগুলো লেখো।
قد فَعَلَ، قد فَعَلَا، قد فَعَلُوْا، قد فَعَلَتْ، قد فَعَلَتَا، قد فَعَلْنَ، قد فَعَلْتَ، قد فَعَلْتُمَا، قد فَعَلْتُمْ، قد فَعَلْتِ، قد فَعَلْتُمَا، قد فَعَلْتُنَّ، قد فَعَلْتُ، قد فَعَلْنَا
৮৩. প্রশ্ন: مَاضِى قَـرِيـب مَـجْـهُـول -এর গর্দানগুলো লেখো।
قد فُعِلَ، قد فُعِلَا، قد فُعِلُوْا، قد فُعِلَتْ، قد فُعِلَتَا، قد فُعِلْنَ، قد فُعِلْتَ، قد فُعِلْتُمَا، قد فُعِلْتُمْ، قد فُعِلْتِ، قد فُعِلْتُمَا، قد فُعِلْتُنَّ، قد فُعِلْتُ، قد فُعِلْنَا.
৮৪. প্রশ্ন: مَاضِى بَـعِـيـدঅর্থ কি?
উত্তর: (দূরবর্তী অতীত কাল)।
৮৫. প্রশ্ন: مَاضِى بَـعِـيـد কাকে বলে?
উত্তর: যে فعل ماضي দ্বারা দূরবর্তী অতীত কালে কোন কাজ করেছিল বা হয়েছিল বোঝায়।
৮৬. প্রশ্ন: مَاضِى بَـعِـيـد এর গঠনপ্রণালী লেখো।
গঠনপ্রণালী : ماضي مطلق-এর পূর্বে كَانَ যোগ করলে مَاضِى بَـعِـيـد এর صيغة গঠিত হয়।
৮৭. প্রশ্ন: مَاضِى بَـعِـيـد-এর একটি উদাহরণ দাও।
উত্তর: যেমন- كُنْتُ ذَهَبْتُ (আমি অনেক আগে গিয়েছিলাম), كُنَّا غَسَلْنَا (আমি অনেক আগে গোসল করেছি)।
৮৮. প্রশ্ন: مَاضِى بَـعِـيـد مَـعْـرُوف -এর গর্দানগুলো লেখো।
كَانَ فَعَلَ، كَانَا فَعَلَا، كَانُوْا فَعَلُوْا، كَانَتْ فَعَلَتْ، كَانَتَا فَعَلَتَا، كُنَّ فَعَلْنَ، كُنْتَ فَعَلْتَ، كُنْتُمَا فَعَلْتُمَا، كُنْتُمْ فَعَلْتُمْ، كُنْتِ فَعَلْتِ، كُنْتُمَا فَعَلْتُمَا، كُنْتُنَّ فَعَلْتُنَّ، كُنْتُ فَعَلْتُ، كُنَّا فَعَلْنَا.
৮৯. প্রশ্ন: مَاضِى مُطْـلَـق مَـعْـرُوف -এর গর্দানগুলো লেখো।
فَعَلَ، فَعَلَا، فَعَلُوْا، فَعَلَتْ، فَعَلَتَا، فَعَلْنَ، فَعَلْتَ، فَعَلْتُمَا، فَعَلْتُمْ، فَعَلْتِ، فَعَلْتُمَا، فَعَلْتُنَّ، فَعَلْتُ، فَعَلْنَا.
৯০. প্রশ্ন: مَاضِى مُطْـلَـق مَـجْـهُـول -এর গর্দানগুলো লেখো।
فُعِلَ، فُعِلَا، فُعِلُوْا، فُعِلَتْ، فُعِلَتَا، فُعِلْنَ، فُعِلْتَ، فُعِلْتُمَا، فُعِلْتُمْ، فُعِلْتِ، فُعِلْتُمَا، فُعِلْتُنَّ، فُعِلْتُ، فُعِلْنَا.
৯১. প্রশ্ন: مَاضِى إسْـتِـمْـرَارِىঅর্থ কি?
উত্তর: চলমান অতীত কাল।
৯২. প্রশ্ন: مَاضِى إسْـتِـمْـرَارِى কাকে বলে?
উত্তর: যে فعل দ্বারা অতীত কালে ব্যাপক সময় পর্যন্ত কোন কাজ চলছিল বোঝায়।
৯৩. প্রশ্ন: مَاضِى إسْـتِـمْـرَارِى এর গঠনপ্রণালী লেখো।
উত্তর: فِعْل مُضَارِع এর পূর্বে كَانَ যোগ করলে مَاضِى إسْـتِـمْـرَارِى হয়। كَانَ শব্দটিও মূল সীগাহর সাথে রূপান্তর হবে।
যেমন- كَانَ نصر، كَانَا نصرا، كَانُوْا نَصَرُوْا
৯৪. প্রশ্ন: مَاضِى إسْـتِـمْـرَارِى -এর একটি উদাহরণ দাও।
উত্তর: كَانَ يَكْتُبُ (সে লিখতেছিল), كَان يَكْبُرُ (সে বড় হচ্ছিল)।
৯৫. প্রশ্ন: مَاضِى إحْـتِـمَالِىঅর্থ কি?
উত্তর: সম্ভাবনামূলক অতীত কাল।
৯৬. প্রশ্ন: مَاضِى إحْـتِـمَالِى কাকে বলে?
উত্তর: যে فعل তথা ক্রিয়া দ্বারা অতীত কালে কোন কাজ সংঘটিত হওয়ার সম্ভাবনা বোঝায়।
৯৭. প্রশ্ন: مَاضِى إحْـتِـمَالِى এর গঠনপ্রণালী লেখো।
উত্তর: مَاضِى مُطْلَق এর পূর্বে لَعَلَّمَا শব্দ যোগ করে।
لَعَلَّمَا শব্দটি সবসময় একই অবস্থায় থাকবে, রূপান্তর হয় না।
৯৮. প্রশ্ন: مَاضِى إحْـتِـمَالِى -এর একটি উদাহরণ দাও।
উত্তর: যেমন- لَعَلَّمَا عَمِلَ (সম্ভবতঃ সে আমল করেছে)।
৯৯. প্রশ্ন: مَاضِى إحْـتِـمَالِى مَـعْـرُوف -এর গর্দান লেখো।
لَعَلَّمَا فَعَلَ، لَعَلَّمَا فَعَلَا، لَعَلَّمَا فَعَلُوْا، لَعَلَّمَا فَعَلَتْ، لَعَلَّمَا فَعَلَتَا، لَعَلَّمَا فَعَلْنَ، لَعَلَّمَا فَعَلْتَ، لَعَلَّمَا فَعَلْتُمَا، لَعَلَّمَا فَعَلْتُمْ، لَعَلَّمَا فَعَلْتِ، لَعَلَّمَا فَعَلْتُمَا، لَعَلَّمَا فَعَلْتُنَّ، لَعَلَّمَا فَعَلْتُ، لَعَلَّمَا فَعَلْنَا
১০০. প্রশ্ন: مَاضِى إحْـتِـمَالِى مَـجْـهُـول -এর গর্দান লেখো।
لَعَلَّمَا فُعِلَ، لَعَلَّمَا فُعِلَا، لَعَلَّمَا فُعِلُوْا، لَعَلَّمَا فُعِلَتْ، لَعَلَّمَا فُعِلَتَا، لَعَلَّمَا فُعِلْنَ، لَعَلَّمَا فُعِلْتَ، لَعَلَّمَا فُعِلْتُمَا، لَعَلَّمَا فُعِلْتُمْ، لَعَلَّمَا فُعِلْتِ، لَعَلَّمَا فُعِلْتُمَا، لَعَلَّمَا فُعِلْتُنَّ، لَعَلَّمَا فُعِلْتُ، لَعَلَّمَا فُعِلْنَا

দাঁড়ি কাটা ও দাঁড়ি শেভ করা মুসলিমদের জন্য হারাম

দাঁড়ি কাটা ও দাঁড়ি শেভ করা মুসলিমদের জন্য হারাম.




আল-কুরআন ও সুন্নাহর এবং আলেমদের অভিমতের সার-সংক্ষেপ হলো দাঁড়ি রাখা ওয়াজিব। দাঁড়ি শেভ করা বা কাটা হারাম ও নাজায়েয। কেননা রাসূলুল্লাহ ﷺ এর নির্দেশ দ্বারা এখানে ওয়াজিব বুঝায়।

দাঁড়ি রাসূলুল্লাহ ﷺ এর আদর্শ। আদেশ, আমল এবং স্বীকৃতি ইত্যাদি সর্বোতভাবে তিনি বলেছেন দাঁড়ি বড় করার কথা। সেহেতু এটা কামিয়ে ফেলা তাঁর সম্মানিত আদর্শ তথা জীবনাচরণের প্রতি চরম অবমাননা।

দাঁড়ি শেভ করলে আল্লাহর সৃষ্টিকে বিকৃত করা হয়, যা করতে তিনি নিষেধ করেছেন। মহান আল্লাহ্ তা’য়ালা বলেন মানবের সেরা শত্রু দুষ্ট ইবলিশ শয়তান বলল: “(শয়তান বলল) আর অবশ্যই আমি তাদেরকে নির্দেশ দিব, ফলে তারা আল্লাহর সৃষ্টি বিকৃত করবে”। [সূরা: আন-নিসা, আয়াত: ১১৯]

আল্লাহর সৃষ্টি বিকৃত করা দ্বারা বুঝায়, যে সব নারী শরীরে উল্কি আঁকে ও ভ্রু কাটে এবং দাঁড়ি কাটে সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য এবং আল্লাহর সৃষ্টিকে পরিবর্তন করে। আল্লাহ্ তা’য়ালা এটি নিষেধ করেছেন। [বুখারী, আস-সহীহ: ৪৮৮৬]

আলেমদের মতে দাঁড়ি শেভ করা অথবা কাটছাট করে ষ্টাইল করে রাখাও আল্লাহর সৃষ্টিকে পরিবর্তন করার মতো কাজ, যা হারাম। শেখ আলী মাহফুয আল আযহারী বলেন: চার মাযহাবের আলেমগণ একমত যে দাঁড়িকে ঘন রাখা ওয়াজিব, শেভ করা হারাম। প্রসিদ্ধ চার মাযহাবের ফিকহবিদগণও দাঁড়ি ছেড়ে দেওয়া ওয়াজিব ও কেটে ফেলা বা শেভ করাকে হারাম বলে মত প্রকাশ করেছেন।

দাঁড়ির ব্যাপারে সাহাবায়ে কেরাম ও সালাফে-সালেহীন তথা আমাদের নেককার উত্তরসূরীরাও আমাদেরকে সঠিক পথ নির্দেশনা দিয়ে গেছেন। তাদের কেউই দাঁড়ি শেভ করতেন না। দাঁড়ি শেভ করা আল্লাহর অবাধ্যতা।

মহান আল্লাহ্ তা’য়ালা বলেন: “আল্লাহ ও তাঁর রাসূল কোনো বিষয়ের ফায়সালা দিলে কোনো মুমিন পুরুষ কিংবা মুমিন নারীর জন্য সে ব্যাপারে তাদের নিজেদের কোনো রকম (ভিন্ন সিদ্ধান্তের) ইখতিয়ার থাকবে না। আর যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের নাফরমানী করল, সে নিঃসন্দেহে সুস্পষ্টভাবে গোমরাহ (পথভ্রষ্ট) হলো”। [সূরা: আল-আহযাব, আয়াত: ৩৬]

দাঁড়ি মুণ্ডানো বা ছাটা উভয়টিই গোনাহের কাজ। এটি মজুসী বা অগ্নি পূজাকারীদের কাজ। আর নবী ﷺ আমাদেরকে বিজাতি অমুসলিমদের অনুকরণ করতে নিষেধ করেছেন। হাদিসে শরীফে এসেছে–

আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন: “যে ব্যক্তি কোনো জাতির সাদৃশ্য গ্রহণ করে, সে ব্যক্তি সেই জাতিরই অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য হবে”। [আবূ দাঊদ, আস-সুনান: ৩৫১২, শাইখ আলবানী বলেন হাদিসটি হাসান সাহীহ ৩৪০১। হাদিসটিকে শাইখ আলবানী অন্যত্র সহীহ বলেছেন হিযাবুল মারআ আল-মুসলিমা: পৃ. ১০৪]

➤ মোচ না কাটার ব্যাপারে কঠিন সাবধানবাণী:

শাইখ ইবন বায (রাহি.) বলেছেন: মোচ কাটাও ওয়াজিব। মোচ ভালো করে কেটে নেওয়া উত্তম। এর অর্থ মোচ শেভ করা নয়। লম্বা-ঘন মোচ রাখা নাজায়েয ও গোনাহের কাজ। এটা করলে নবী ﷺ এর কথা ও কাজের বিরোধিতা করা হয়। রাসূলুল্লাহ ﷺ এর হাদীসে মোচ কাটতে বলা হয়েছে কামিয়ে ফেলতে বলা হয় নি।

রাসূলুল্লাহ ﷺ এর যা আদর্শ নয় তা কখনও গ্রহণযোগ্য নয়। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন: “যে কেউ এমন আমল করবে যা করতে আমরা নির্দেশ দেইনি, তা প্রত্যাখ্যাত”। [মুসলিম, আস-সহীহ: ১৭১৮]

সাহাবী যাইদ ইবনুল আরকাম (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন: “যে মোচ ছোট করে ছাটে না, সে আমার উম্মতের অর্ন্তভুক্ত নয়”। [তিরমিযী, আস-সুনান: ২৭৬১, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং: ২৭৩৮]

ইয়েমেনের শাসকের পক্ষ থেকে দু’জন লোক আল্লাহর রাসূল ﷺ এর নিকট এল। তাদের দাঁড়ি মুণ্ডানো ছিল এবং মোচ লম্বা ছিল। তাদের চেহারার দিকে তাকাতেও আল্লাহর রাসূলের কষ্ট হচ্ছিল। তিনি তাদেরকে বললেন: তোমাদের মরণ হোক! এ কাজ করতে কে তোমাদেরকে বলেছে? তারা বলল, আমাদের প্রভু (কিসরা) আমাদেরকে আদেশ করেছেন। আল্লাহর রাসূল ﷺ বললেন: “কিন্তু আমার রব আমাকে আদেশ করেছেন দাঁড়ি লম্বা রাখার ও মোচ খাটো করার”। [আল-বিদায়া ওয়ান-নিহায়া (৪/২৭০) দারুল ফিকর সংস্করণ]

ইমাম কুরতুবী (রাহি.) বলেন: দাঁড়ি শেভ করা বা উঠিয়ে ফেলা বা কাট-চাট করে ষ্টাইল করে রাখা নাজায়েয। দাঁড়ি রাখা বাড়িয়ে ও ঘন করে রাখা ফরজ। দাঁড়ি শেভকারী তার এ গোনাহকে সবার সামনে প্রকাশ করে যা অতি কঠিন হারাম কাজ। 

হাদীসে রয়েছে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন: “আমার উম্মতের সবাইকে আল্লাহর রহমতে মাফ করা হবে, তবে তারা ব্যতীত যারা গোনাহ ও নাফরমানীকে সকলের কাছে প্রকাশ করে বেড়ায়”। [বুখারী, আস-সহীহ: ৬০৬৯]

➤ হাদিসের আলোকে দাঁড়ির পরিমাপ:

দাঁড়ি এক মুষ্টি বা চার আংগুল পরিমান লম্বা রাখতে হবে। এক মুষ্টির কম রাখা বা একেবারে তা মুণ্ডিয়ে ফেলা সর্বসম্মতিক্রমে হারাম এবং কবীরা গুনাহ।

শরী‘আত প্রবর্তক কর্তৃক কোনো বিষয়ের প্রতি সাধারণ নির্দেশ আসলে তা পালন করা ওয়াজিব এবং বিপরীত করা হারাম। এছাড়া সাহাবা, সালাফে-সালেহীন এবং ফক্বীহগণের দাঁড়ি রাখার নিরবছিন্ন আমল এবং তাদের বিভিন্ন উক্তিসমূহের দ্বারা এক মুষ্টি পরিমাপ লম্বা দাঁড়ি রাখা ওয়াজিব এবং এর বিপরীত করা হল হারাম।

রাসূলুল্লাহ ﷺ, সাহাবায়ে আজমা‘ঈন, তাবেঈ, তাবে-তাবেঈ, আইম্মায়ে মুজতাহিদীন, চার মাযহাবের সকল ইমাম ও বুযুর্গবৃন্দ, আহলে হাদীস, আহলে যাহেরের আলেমগণ দাঁড়ি এক মুষ্টির চেয়ে বেশি বা কমপক্ষে একমুষ্টি বা ৪ আঙ্গুল রাখাকে ওয়াজিব কিংবা আবশ্যিক সুন্নাহ বলেছেন।

নবী মুহাম্মাদ ﷺ এর উম্মত হিসেবে কমপক্ষে এক মুষ্টি বা চার আংগুল বা কিছুটা লম্বা দাঁড়ি রাখা একজন মুসলিমের অবশ্যই কর্তব্য। কারণ এটা মুসলিমের পরিচয় বহন করে।

হাদিসের কিতাবে পাওয়া যায়, আবূ হুরায়রা (রা.) তার দাঁড়ি মুঠ করে ধরতেন। এরপর এক মুষ্ঠির অতিরিক্ত অংশ কেটে ফেলতেন। [মুসান্নাফ ইবন আবী শাইবা ১৩/১১২, হাদীস নং: ২৫৯৯২, ২৫৯৯৯]

আবদুল্লাহ ইবন উমার (রা.) যখন হজ্জ কিংবা ওমরা করতেন, তখন দাঁড়ি মুঠো করে ধরতেন এবং মুঠোর বাহিরের যা বেশি হত তা কেটে ফেলতেন। [বুখারী, আস-সহীহ: ২৭৪৩]

জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: “আমরা হজ্জ ও উমরা ছাড়া সবসময় দাঁড়ি লম্বা রাখতাম।”। [আবূ দাঊদ, আস-সুনান: ৪১৫৫]

নাফে‘ (রাহি.) বলেন, আবদুল্লাহ ইবন উমার (রা.) মুষ্টির অতিরিক্ত দাঁড়ি কেটে ফেলতেন। [ইবন আবী শাইবাহ, হাদীস নং: ২৫৯৯৭]

হাসান বসরী (রাহি.) বলেন, তারা (সাহাবী-তাবেঈন) মুষ্টির অতিরিক্ত দাঁড়ি কাটার অবকাশ দিতেন। [প্রাগুক্ত ১৩/১১২, হাদীস নং: ২৫৯৯৫]

দ্বীনের স্বার্থে পোস্টটি আপনার ওয়ালে শেয়ার বা যত খুশী কপি করতে পারেন। অনুমতি নেয়ার প্রয়োজন নেই। কেউ এটি দেখে আমল করলে তা আমাদের জন্য ইনশাআল্লাহ সাদকায়ে জারিয়া হিসাবে গণ্য হবে।